শেরপুর প্রতিনিধিঃ- শেরপুরের শ্রীবরদীতে রাস্তা সংস্কারের অভাবে ৪ গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলার সিঙ্গাবরুনা ইউনিয়নের কর্ণঝুড়া বর্ডার রোড হতে চান্দাপাড়া, কুমারগাতি,বাবলাকোনা হয়ে হারিয়াকোনা পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা।
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে বর্ডার রোডের উত্তরে কর্ণঝুড়া নদীর বাধ সংলগ্ন রাস্তাটি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে ৪ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ ব্যাবস্থা। চলাচল করতে পারছেনা কোন যান বাহন। এছাড়াও উত্তর হারিয়াকোনা পর্যন্ত পৌছতে পাড়ি দিতে হয় ছোট বড় কয়েকটি ঝুড়া বা খাল । এ পথে প্রতিদিন শতশত মানুষের যাতায়াত।
একটু বৃষ্টি হলে দূর্ভোগের যেন শেষ নেই পথচারীদের। যেন জীবন যুদ্ধের আরেকটি অংশ হিসেবে নিয়েছে যাতায়াত ব্যাবস্থা। ৪ টি গ্রামে শহশ্রাধিক পরিবারের বসত বাড়ী রয়েছে। হিন্দু মুসলিম খ্রীস্টার্ণসহ ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় কয়েক হাজার মানুষের বাস। এপথে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে স্কুল কলেজে পরুয়া ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াত নিয়ে বিপাকে পরতে হয় অভিভাবকদের। কৃষি পণ্য বাজারজাত করতে বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে কৃষকদের।
জরুরী প্রয়োজনে কোন রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কোন ভাবেই সম্ভব হয়ে উঠেনা। নির্বাচনের সময় এলাকার রাস্তাঘাট উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট নিয়ে গেলেও পরে তাদের আর কোন খোঁজ-খবর রাখেননা বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। হারিয়াকোনা ও বাবলাকোনা এলাকার বিরেশ রিছিল, আলীসন চিরান, মিঠুন সাংমা, সজিনাথ চিরান, সতিশ মারাক, প্রফিশন মারাকসহ আরও অনেকেই আক্ষেপ করে বলেন, আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকা বলে কি উন্নয়নের মহা সড়কে আমাদের ঠাই হবেনা? এবং এ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কারের দাবী জানান।
এ রাস্তাটি সংস্কার হলে একদিকে বন্ধ হবে চুরাচালানি অন্যদিকে দ্রুত বদলে যাবে এ ৪ গ্রামের দৃশ্যপট। সিঙ্গাবরুনা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক মজনু বলেন, আমার পরিষদের ক্ষমতা সীমিত। এসব এলাকার রাস্তাঘাটগুলো সংস্কার করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে আবেদন পাঠিয়েছি, মঞ্জুরী পেলেই কেবল সংস্কার করা সম্ভব।”