স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহে যৌতুক না পেয়ে নববধূকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে যৌতুকলোভি স্বামী ও তার পরিবার। ময়মনসিংহ সদরের শম্ভুগঞ্জ সবজি পাড়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ হত্যাকান্ড ঘটে।
নিহত নববধূর নাম মাহমুদাকে(২১)। সে রাঘবপুর গ্রামের আঃ হালিমের মেয়ে। সে গৌরীপুরের কলতাপাড়া মোজাফফর আলী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনার এক ঘন্টার মধ্যে কোতোয়ালী পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্বামী সজল ও তার ভাই সুজনকে গ্রেফতার করেছে।
নিহতের পিতা আঃ হালিম জানান, প্রায় তিন মাস আগে পাশ্ববর্তী গ্রাম রঘুনাথপুর সবজিপাড়ার শাহজাহানের ছেলে সজলের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়। তিনি আরো বলেন, বিয়ের পর থেকেই যৌতুকলোভি শ্বাশুড়ি মিনু নববধু মাহমুদাকে যৌতুকের জন্য নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছে। মায়ের প্ররোচনায় স্বামী সজল প্রায়ই নির্যাতন করে আসছিল। এ নিয়ে নিয়মিত ঝগড়া চলে।
বৃহস্পতিবার বিকালে মাহমুদা আবারো স্বামী ও তার পরিবারের সাথে ঝগড়া হলে মাহমুদা তার পিতা মাতাকে বিসয়টি জানান। এ সময় মাহমুদাকে তার পিতার বাড়িতে চলে আসতে বললে সে জানায়, তার স্বামী, শ্বাশুড়ি ও পরিবারের অন্যান্যরা তাকে আসতে দিচ্ছে না।
সন্ধ্যায় স্বামী সজল মাহমুদার পিতাকে জানান, আপনার মেয়ে অসুস্থ। এ সময় মেয়েকে ডাক্তার দেখানোর কথা বলেন। এর কয়েক মিনিট পর আবারো সজল তার শ্বশুরকে বলে মাহমুদার অবস্থা ভাল নয়। আবারো হাসপাতলে নিতে বললে সজল জানায়, শম্ভুগঞ্জ থেকে একজন ডাক্তার আনা হয়েছে, তবে অবস্থা খুবই খারাপ। এ কথা শুনে মাহমুদার পিতা আঃ হালিম অন্যান্যদের নিয়ে দ্রুত সজলের বাড়িতে যান। এ সময় স্থানীয় ডাক্তার ও সজলের পরিবার জানায়, মাহমুদা বেচে নেই।
নিহতের পিতা ও তার পরিবারের অভিযোগ যৌতুক না পেয়ে মাহমুদাকে তার শ্বাশুড়ি মিনুর প্ররোচনায় স্বামী সজল ও তার ভাই সুজন পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। নিহতের পিতা আরো বলেন, সজল তার ভাই সুজনের সহায়তায় মাহমুদার গলায় বিদ্যুতের তার পেচিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে।
খবর পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদারের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মুশফিকুর রহমানসহ অন্যান্যরা দ্রুত অভিযান পরিচালনা করে স্বামী সজল মিয়া ও তার ভাই সুজনকে আটক করে। এছাড়া নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়মা তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মগে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের স্বামী সজল ও তার ভাইকে আটক করি। লাশ মগে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা।