মো. আবুল কালাম আজাদ :
মানুষের ভালবাসার পরশ যাকে অবিরাম ছুঁয়ে থাকে তিনিও মানুষ বটে। তবে তিনি ভিন্ন মানুষ, অন্য মানুষ। আর এসব অন্য‘র তরজমা অলৌকিক কিছুই নয় বটে।
ইহজাগতিক সকল ইতিবাচক কাজের সাথে প্রতিনিয়তই যার সখ্যতা সেই অর্থে তিনি অন্য মানুষ, অনন্য মানুষও বলা যেতে পারে। বলা যেতে পারে অনন্য সুহৃদও।
বলছিলাম হাওর পাড়ের মানুষের মানবিক অভিভাবক সর্বপ্রিয় সাজ্জাদুল হাসান‘র কথাই। আর এইটি এইবার এইজন্য বলজি যে, ১১ জানুয়ারি ছিল হাওর পাড়ের মানুষের মানবিক অভিভাবক নেত্রকোনা জেলার দৃশ্যমান উন্নয়নের রূপকার প্রধান্মন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান সাজ্জাদুল হাসানের ৬০ তম জন্মদিন।
তাঁর জন্মদিনে মানুষ পরম মমতা মাখিয়ে তাঁকে নিপে করেছে অজস্র পুস্পসমেত ভালবাসার পরশ। জন্মদিন উপলে সকাল থেকেই তাঁর ইস্কাটন গার্ডেন অফিসারস কোয়ার্টার বাসভবনে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, বন্ধু-স্বজন-পরিজন-সুহৃদ, ঢাকাস্ত নেত্রকোনাবাসী, মোহনগঞ্জ সমিতি, সাবেক পাইলটিয়ান সহ আরও বিভিন্ন সংগঠনের প থেকে ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান এবং জন্মদিনের কেক কেটে ভালবাসায় মমতায় তাঁর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
সাজ্জাদুল হাসান ১৯৬১ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা কৃতি ব্যক্তিত্ব, বীর মুক্তিযোদ্ধা গণপরিষদের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ডা. আখালাকুল হোসাইন আহমেদ। শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই সকল ধাপে তিনি মেধার সার রেখেছেন। ১৯৭৬ সালে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান শাখায় প্রথম বিভাগে এস এস সি পাশ করেন।
১৯৭৮ সালে ঢাকা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিষয়ে প্রথম বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক সমাপন করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতি বিষয়ে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক ও একই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়া সরকারের বৃত্তি নিয়ে ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুনরায় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৮৮ সালে প্রতিযোগিতামূলক বিসিএস পরীায় অংশগ্রহণ করে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সরকারি চাকুরীতে যোগদান করেন।
জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করে সরকারি চাকুরীতে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। প্রমোশন পরবর্তী তিনি গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেব নিয়োগ পান। পরবর্তীতে তিনি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে ময়মনসিংহে এবং জেলা প্রশাসক হিসেবে কক্সবাজার ও সিলেট জেলায় অত্যন্ত দতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১২ থেকে ২০১৪ অবধি যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে যুগ্ম-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সাজ্জাদুল হাসান ২০১৪ সালে বিভাগীয় কমিশনার হিসেবে সিলেটে নিয়োগপ্রাপ্ত হন এবং ২০১৫ সাল অবধি দায়িত্ব পালন করেন। যুগ্ম-সচিব হিসেবে বিভাগীয় কমিশনার থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যোগদান করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চাকুরীকালীন তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত স্নেহ ও আস্থাভাজন হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন।
এসময় তিনি নেত্রকোনা জেলায় শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা প্রেসকাব ভবনসহ জেলার ভাটি ও সীমান্ত অঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের ফলে ২০১৮ তিনি সচিব ও সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে ২০২০ সালে কর্মজীবন সমাপন করেন।
বর্তমানে তিনি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর জন্মদিনে সার্বিক সুস্থতা ও কল্যাণ কামনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নানা শ্রেণি পেশার মানুষ তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। একইসাথে আগামীতে জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে ভুমিকা রাখবার জন্য সাজ্জাদুল হাসানের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
অবহেলিত হাওর জনপদের মানুষের প্রতিদিনকার আলোচনার কেন্দ্র সাজ্জাদুল হাসান। তিনি সরকারি চাকুরীতে থাকাকালীন মানুষের মানবিক অভিভাবক হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন। তিনি দল-মত-পথ নির্বিশেষ সকল মানুষের কল্যাণে সদা নিয়োজিত থেকেছেন এবং রয়েছেন। মানুষের দুঃখে-বিপদে-আপদে তিনি তাঁর নিজের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন-দিচ্ছেন প্রতিণ। তিনি শিা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, বিনোদন ইত্যাকার সকল অনুষঙ্গে মানুষের কল্যাণের কথা বিবেচনায় রেখে তাঁর স্বপ্নের জাল বুনে যাচ্ছেন একইসাথে স্বপ্ন পূরণে অবিচল থাকছেন।