কলিহাসান,দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ইরি-বোরো ধান চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কৃষক-কৃষানিরা কোমড় বেঁধে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন।
মাঠের পর মাঠ জুড়ে কৃষকরা কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা খেতে পানি দিতে সেচের জন্য শ্যালো মেশিন চালু করছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা ভবানীপুর গ্রামে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুল্লাগড়া,দুর্গাপুর,গাঁওকান্দিয়া,চন্ডিগড়, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া, বিরিশিরি ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের ল্য মাত্রা ১৭ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি।
শিরবির গ্রামের কৃষক নুর মিয়া বলেন, আমন ধান কাটার পর জমিগুলো চাষাবাদ উপযুক্ত করে আগাম ধানের চারা লাগাইতেছি। দেড়িতে লাগাইলে জৈষ্ঠ্য মাসের আগাম অতিবৃষ্টির পানিতে ধান তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নে গোপালপুর গ্রামের তিলোত্তমা রেমা বলেন, গত প্রায় মাস দুয়েক আগে আমন ধান কেটেছি। আগাম বন্যার ভয়ে কঠিন শীত ও শত ব্যস্ততার মধ্যেও বোরো ধান চাষ শুরু করেছি। তবে এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় কোন পরামর্শ দিতে আসেনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান প্রতিবেদককে বলেন, এবার দুর্গাপুর উপজেলায় বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের ল্য মাত্রা ১৭ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি। এবার শীত মৌসুমে শৈত্য প্রবাহ, ঘনকুয়াশা ও কনকনে শীতের মধ্যেও বীজতলা তৈরী করতে কৃষকদের কোন সমস্যা হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইরি বোরো চারা রোপনের ল্য মাত্রা শেষ হলে, দুর্গাপুর উপজেলায় বোরো চাষের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি।