স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি ব্যারিস্টার হারুন অর রশিদ বলেন, করোনার ভয়বহতায় মৃত ব্যক্তি এবং করোনাক্রান্ত ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে সন্তান পালিয়ে গেলেও, ভয়ভীতির উর্দ্বে থেকে মানবিক বিবেচনায় মৃত ব্যক্তির দাফন ও সৎকার করেছে পুলিশ।
অসুস্থ্য ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে ভর্তি করে বিগত বছর মানিবক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পুলিশ। করোনা থেকে মানুষকে ভাল রাখা এবং খাদ্যহীনদের খাদ্য ওষুধ দিয়েছে পুলিশ। আইজিপি ডঃ বেনজীর আহমেদের সার্বিক তত্বাবধান এবং নিদের্শে এই মানবিক কাজগুলো হয়েছে। জেলা পুলিশের আয়োজনে বুধবার চরপাড়া মোড়ে মাস্ক বিতরণ ও ক্যাম্পেইনকালে ডিআইজি এ সব কথা বলেন।
ডিআইজি আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফল। আমাদের দায়িত্বহীনতায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আবারো বেড়ে গেছে। আমাদের সোচ্চার হতে হবে। তিনি আরো বলেন, পুলিশ জীবনবাজি রেখে মোকাবেলা করেছে। খাদ্যহীনকে খাদ্য দিয়েছে, ওষুধ দিয়েছে যা দেশব্যাপী প্রশংসীত হয়েছে। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় আমরা সব ধরণের প্রস্তুতি রেখেছি।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ইকরামূল হক টিটু বলেন, করোনাকালে মৃত ব্যক্তি এবং করোনাক্রান্ত ব্যক্তিকে রাস্তায় ফেলে সন্তান পালিয়ে গেলেও মানবিক বিবেচনায় মৃত ব্যক্তির দাফন ও সৎকার করেছে পুলিশ। অসুস্থ্য ব্যক্তিকে রাস্তা থেকে তুলে হাসপাতালে ভর্তি মানিবক দৃষ্টান্ত স্থাপন বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভয়াবহতা মারাত্বক হারে বাড়লেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুঃসাহসি ও সময়োপযোগী পদেেপ বাংলাদেশে করোনার হার অনেক কম। অনেক উন্নত দেশ করোনার টিকা না পেলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ পদেেপ উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরও প্রথমধাপেই বাংলাদেশ টিকা পেয়েছে। তিনি বলেন, টিকা গ্রহণের পর আমরা উদাসিন হয়ে পড়েছি। মাস্ক ব্যবহার ভুলে বেপরোয়া চলাচল করছি। তাই আবারো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। নতুন করে সংক্রমণ যাতে না বাড়ে এবং রোধ করা যায়, সেই লে আইজিপি ডঃ বেনজীর আহেেমদের নির্দেশে দেশব্যাপি একযুগে পুলিশ মাস্ক বিতরণ ও সচেতনামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। তিনি জনগণের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, করোনা প্রতিরোধে ৩১ দফা মেনে চলুন, পরিবার ও দেশকে সুরতি রাখুন। দ্বিতীয়ধাপে গত বছরের চেয়ে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। অন্যথায় আপনার আমার ভুলের জন্য পরিবার এবং দেশ তিগ্রস্থ হতে পারে।
এ সময় পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ সালে মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে দেশেকে নিরাপদ রাখতে হবে। জনস্বাস্থ্য ঠিক থাকলে দেশ নিরাপদ থাকবে। তিনি আরো বলেন, করোনা আবারো অধিকমাত্রায় বাড়ছে। মাস্ক চাড়া বাইরে যাব না এই অঙ্গিকার সকলকেই করতে হবে।
করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পড়ার বিকল্প নেই। মাস্ক পড়ানো সম্পর্কে সচেতনতা গড়তে এবং কেন মাস্ক পড়বেন তা জনগণের মাঝে তুলে ধরতে সারাদেশে বাংলাদেশ পুলিশ মাস্ক বিতরণ ও মাস্ক ক্যাম্পেইন করছে। এই কর্মসূচী চলমান থাকবে। তিনি আরো বরেন, গত বছর করোনার শুরু থেকে ময়মনসিংহ পুলিশ যেভাবে মানুষের পাশে থেকে অসহায়দের মাঝে খাদ্য, ওষুধ, বিতরণ করেছে প্রয়োজনে পুলিশ সবই করবে।
এ সময় অতিরিক্ত ডিআইজি ডঃ আক্কাস উদ্দিন ভুঞা, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এহতেশামূল আলম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান মিয়া, জয়িতা শিল্পী, জাপা নেতা ডাঃ কে আর ইসলাম, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন, কাউন্সিলর কামাল খান, ফজলুল হক উজ্জল, শামছুল হক, মটর মালিক সমিতির মমতাজ উদ্দিন মন্তা, জাপা নেতা জাহাঙ্গীর আহমেদ, উত্তম চক্রবর্তী রকেট, সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিভিন্ন রিক্সা, ভ্যান, অটোর যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, সারাদেশের ন্যায় গত ২১ মার্চ ময়মনসিংহে ১৪ থানায় একযুগে মাস্ক বিতরণ করা হয়। এর পর থেকে জেলা পুলিশ প্রতিদিন মাস্ক বিতরণ ও প্রচারণা ক্যামেইন চালিয়ে আসছে।