ধোবাউড়ায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়ম

প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩১, ২০২১

ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধিঃ
ধোবাউড়ায় অতি দরিদ্রদের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, মেম্বার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এসব অনিয়ম হচ্ছে বলে অভিযোগ সচেতন মহলের।

২০২০-২১ অর্থ বছরের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসৃজন কর্মসূচি (ইজিপিপি) এর আওতায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২কোটি ৪৩লাখ ১২হাজার টাকা বরাদ্দে মোট ৬০টি প্রকল্পে কাজের কথা থাকলেও অধিকাংশ প্রকল্পে কোন কাজ হয় নি। ৪০ দিনের কর্মসূচিতে কাগজে কলমে কাজ হয়েছে ২৫ দিন। কিন্তু সরেজমিন অনুসন্ধানে ভিন্ন চিত্র দেখা যায়। অধিকাংশ প্রকল্পে কোন কাজ হয় নি। কিছু প্রকল্পে শ্রমিকের বদলে ভেকু দিয়ে রাস্তায় মাটি দেওয়া হয়েছে। আবার ভুয়া শ্রমিক দেখিয়ে অর্থ উত্তোলন করা হয়েছে। উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নে ৩৯লাখ ৯২হাজার টাকা ব্যয়ে ৪০ দিনের ৯টি প্রকল্প দেওয়া হয়। পরে কাগজে কলমে ২৫ দিনের কাজ দেখানো হয়েছে। ইতিমধ্যে কাজের টাকা উত্তোলন করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কড়িয়াবাসা স্কুল থেকে নদীর পাড় পর্যন্ত রাস্তা পুনঃনির্মাণ এবং ছোটবন ছোবানের বাড়ি থেকে মসজিদ পর্যন্ত রাস্তাা পুনঃনির্মাণ করার কথা থাকলেও কোন কাজ হয় নি সেখানে। কোন কাজ ছাড়াই প্রকল্পটির টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। নয়নকান্দি গ্রামে দুটি রাস্তায় মাটি দেওয়ার কথা থাকলেও একটি রাস্তায় সামান্য মাটি ফেলা হয়েছে। অন্য রাস্তাটিতে এলজিইডির অধীনে পাকাকরণের কাজ চলছে। সেখানে ইজিপিপি প্রকল্পের কোন মাটি দেওয়া হয় নি।

এ বিষয়ে ট্যাগ অফিসার সালাউদ্দিন ইউসুফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাস্তার পাশে জমির মালিকরা পানি ছেড়ে দিয়েছে, এমন অজুহাতে কড়িয়াবাসা ও ছোটবন গ্রামের প্রকল্পে কাজ করাননি ইউপি চেয়ারম্যান ফরহাদ রব্বানী সুমন। পরবর্তীতে ভেকু দিয়ে রাস্তায় মাটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। আমি স্থানীয় জমির মালিকদেরকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তারা অভিযোগ অস্বীকার করেন।

’ অপর দিকে উপকারভোগীদের তালিকা তৈরি নিয়েও অভিযোগ উঠেছে। বাঘবেড় ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নারায়নের পরিবারের তিনজন সদস্যের নাম শ্রমিক তালিকায় রয়েছে। শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোন শ্রমিককে জব কার্ড দেওয়া হয় নি। চেয়ারম্যান মেম্বারগন শ্রমিকদের স্বার ও টিপসই রেখে জব কার্ড নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছেন। নয়নকান্দি গ্রামের শ্রমিক জিলন মিয়া জানান, তিনি কতদিন কাজ করেছেন তা মনে নেই, তবে ১৪ দিনের কাজের ২১০০ টাকা পেয়েছেন। জব কার্ড দেখতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদেরকে কোন কাগজ দেয় নি।

এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইশতিয়াক হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায় নি।