স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেনের মেয়র ইকরামূল হক টিটু বলেছেন, ময়মনসিংহকে আধুনিক নগরী গড়তে সর্ব্বোচ্য চেষ্ঠাসহ নগরবাসিকে চূড়ান্ত সেবা দিতে সর্বাত্বক চেষ্ঠা করছি।
মশার উপদ্রপ থেকে নগরবাসিকে রা করতে ফগার মেশিনের মাধ্যমে নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। মশার বংশ নির্মূল করতে দুুই শতাধিক প্রজননস্থল ধ্বংস করা হয়েছে।
রবিবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন এলাকায় জৈবিকভাবে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের আওতায় মশার লার্ভা ধবংশ করতে নগরীর ২নং পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন বিশাল ড্রেন ও গোহাইলকান্দি খাল (শিল্পকলার পাশ দিয়ে বহমান) খালে ব্যাঙ উন্মুক্ত কর্মসূচী উদ্বোধনকালে মেয়র ইকরামূল হক টিটু এ সব কথা বলেন।
এ সময় মেযর বলেন, নাগরিকদের জীবন সহজ করার স্বার্থে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। লার্ভিসাইড ও এডাল্টিসাইড প্রয়োগের সাথে সাথে মশক নিধনে অনেক আগে থেকেই জৈবিক পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে।
গতবছর বিভিন্ন ড্রেনে- জলাশয়ে মশক লার্ভা খেকো মাছ ছাড়া হয়েছে। এ বছর অবমুক্ত করা হচ্ছে মশক লার্ভা ধ্বংসকারী ব্যাঙ।
মেয়র জানান, জৈবিক উপায়ে মশক নিধনে বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যাঙ ছাড়াও মশক লার্ভা খেকো মাছ, আবদ্ধ জলাশয়ে হাঁস এবং মশক নিধনে সহায়ক উদ্ভিদ রোপনের পরিকল্পনা ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের কার্যক্রমে ফলে গত কয়েক বছরে এখানে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যায়নি। তবে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। কারন ডেঙ্গু মশার উৎপত্তিস্থল আমরাই সৃষ্টি করি। নির্মাণাধীন ভবন, চিপসের প্যাকেট, পরিত্যক্ত টায়ার, ফেলে দেওয়া দইয়ের পাতিল, ওয়ান টাইম চায়ের কাপ ইত্যাদি সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা না করায় এবং যেখানে সেখানে অবাধে ফেলে রাখায় এডিস মশার জন্ম হতে পারে। বাড়ির আঙিনা অপরিচ্ছন্ন রাখার মাধ্যমে কিউলেক্স মশার ত্রে আমরাই তৈরি করি। মশক নিধনে সকলের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই।
সিটি কর্পোরেশনের প থেকে প্রতিটি খাল, ড্রেন ও ডোবা নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হচ্ছে। প্রতিটি বাসবাড়ির আঙ্গিনা, জোপঝাড় দায়িত্ব নিয়ে নিজেদেরই পরিস্কার করতে হবে। পানির স্বাভাবিক গতি বহমান রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, নিয়মিত ওষুধ ছিটানোর পরও শতভাগ মশা নিধন না হওয়ায় বিজ্ঞানীদের পরামর্শে জৈবিক পদ্ধতিতে মশক নিধনে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মশা ও লার্ভা প্রাণীর মাধ্যমে জৈবিকভাবে নিধন করা সম্ভব। ব্যাঙ, মশাখেকু মাছ, হাঁস ও গাছ মশার লার্ভা ও মশা খেয়ে ধ্বংস করে।
এই পদ্ধতি পরিবেশ বান্ধব দাবি করে মেয়র আরো বলেন, পর্যাক্রমে নগরীর প্রতিটি খাল, বড় ড্রেন, বদ্ধ জলাশয়ে ৫০ হাজার ব্যাঙ ছাড়ার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এর আগে ৬ হাজার এবং রবিবার ৪ হাজার ব্যাঙ অবমুক্ত করা হয়। এ
ছাড়া আবদ্ধ ও গভীর জলাশয়ে কমিউনিটিভাবে হাস এবং গভীর জলাশয়ে মাছ ছাড়া হবে। এ জন্য মশাখেকু মাছ সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া বিজ্ঞানীদের মতে, যে সমস্ত গাছ লাগানো হলে, মশকের বিস্তার রোধ হয়, ঐ সমস্ত গাছ সংগ্রহের কাজ চলছে।
করোনার ভয়াবহতা নিয়ে মেয়র টিটু বলেন, করোনা ভয়াবহতা থেকে রা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মান্য করাসহ প্রত্যেককেই ঘরে অবস্থান করে নিজে, পরিবার এবং দেশকে করোনার হাত থেকে রা করতে দায়িত্বশীল হতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনের পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান বাবু, শরিফুল ইসলাম, নারী কাউন্সিলর সেলিনা আক্তার, জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহাবুল হোসেন রাজীব, স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডাঃ এইচ কে দেবনাথ, খাদ্য ও সেনিটেশন কর্তকর্তা দীপক মজুমদারসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।