ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
বাড়ির অদুরের একটি কান্দার খলায় ধান মাড়ানো দেখছিলো শিশুটি। ধান মাড়ানোর দৃশ্য দেখতে দেখতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। ইফতারের পূর্ব মুহুর্ত, চারপাশটা যেন নিরব-নিস্তব্ধ। ৮/১০ বছর বয়সি ওই শিশুটি কান্দা থেকে ফেরারপথে এক বখাটে তার মুখ চেপে ধরে ঝোপের পাশে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।
রোববার ত্রিশাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের সতেরপাড়া গ্রামে ঘটে ওই ঘটনাটি। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুর বাবা বাদী হয়ে রাতেই ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার দিনভর সব কৃষকের মত বোরো ধানকাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছিলেন ত্রিশাল সদর ইউনিয়নের সতেরপাড়া গ্রামের আদম আলী ও তার ভাইয়েরা। ক’দিন যাবতই বাড়ির অদুরে একটি কান্দায় খলা বানিয়ে সেখানে ধান মাড়াইয়ের কাজ চলছিলো। বাবা আদম আলীর সঙ্গে সেখানে গিয়ে ধান মাড়াই দেখছিলো তার ৮/১০ বছর বয়সি শিশুটি। ধান মাড়ানোর দৃশ্য দেখতে দেখতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে। ইফতারের পূর্ব মুহুর্তে সবাই তাড়াহুড়ো করে ছুটছিল বাড়ির দিকে।
এমন সময় বাবা আদম আলী তার ওই মেয়েকে বলল, মা তুই গরুর দড়ির খুঁটি উঠিয়ে দিয়ে, গরুর পেছন পেছন বাড়ি চলে আয়। ওত্ত ছোট্র একটা মেয়ে। বাবা তো কল্পনাও করেনি, পথিমধ্যে কোন নরপিচাশ তার ওপর ঝাপটে পড়বে।
তখন চারপাশটা ছিল নিরব-নিস্তব্ধ। তোতার কান্দা থেকে গরুর দড়ির খুঁটি উপড়িয়ে দিয়ে শিশুটি ফেরারপথে পাশের বাড়ির আবু তাহেরের বখাটে ছেলে রনি মিয়া তার মুখ চেপে ধরে। এরপর ঝোপের পাশে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ঘটনার পরপরই গাঁ-ঢাকা দেয় অভিযুক্ত রনি।
পরিবারের সদস্যরা ইফতার করা কালীন সময়ে ঘরে ঢুকে কেঁদে কেঁদে ঘটনার কথা বলতে গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে শিশুটি। স্বজনরা দ্রুত শিশুটিকে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। রোববার রাতেই শিশুর বাবা আদম আলী বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ওসি মাইন উদ্দিন জানান, সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ কর্মকতারা। অভিযুক্ত রনিকে গ্রেফতারে ব্যাপক তৎপরতা অব্যাহত আছে।