ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
অনেকদিন হলো বড় মেয়ে হেনা ও তার সন্তানদের সঙ্গে দেখা নেই বাবার। সংসারের ঝামেলার কারনে মেয়েটিও বাবার বাড়ি আসতে পারছেনা। ওদের দেখার জন্য বৃদ্ধ বাবার মনটা খুবই ছটফট করছিলো।
সোমবার সকাল সকাল রওনা হয়েছিলেন মেয়ের শশুরবাড়ি গফরগাঁওয়ের উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দরিরামপুর নামকস্থানে পিকআপভ্যানের ধাক্কায় নিহত হন হেনার বাবা আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মালেক (৭০)। কেমন আছে মেয়েটি তা আর দেখে যাওয়া হলো বাবার।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাঁঠাল ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আবদুল মালেক নিজ গ্রাম হদ্দেরভিটা থেকে অটো-রিকসা যোগে যাচ্ছিলেন গফরগাঁও বড় মেয়ের শশুরবাড়িতে।
সকাল সাড়ে দশটার দিকে অটো-রিকসাটি ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের দরিরামপুর গ্রামের ইভা ফিলিং স্টেশনের কাছাকাছি পৌছলে পেছন দিক থেকে একটি পিকআপভ্যানের ধাক্কায় অটো-রিকসাটি ধুমড়ে মুচড়ে যায়।
এসময় স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মালেক ও সাবেক বিজিবি সদস্য জসিম উদ্দিনকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে দুপুর সাড়ে বারটার দিকে তার মৃত্যু হয়। সাবেক বিজিবি সদস্য জসিম উদ্দিনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
বিকেলে নিহত ওই আ’লীগ নেতার লাশ বাড়িতে পৌছলে এক হৃদয় বিদারক ঘটনার অবতারনা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, ঘাতক পিকআপভ্যানটি আটক করা হয়েছে।