জাহাঙ্গীর হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরের নালিতাবাড়ী রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নের পানিহাটা চার্চ অব বাংলাদেশ সাধু আন্দ্রিয়ের মিশন ও শান্তিধামে রোববার সন্ধ্যায় বন্য হাতি আক্রমণ করেছে।
হাতির দল মিশনের সীমানার খুঁটি উপড়িয়ে কাঁটাতারের বেড়া দুমড়ে-মুচড়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে জানিয়েছে মিশন কর্তৃপক্ষ।
মিশন কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মিশনের উত্তর ও পূর্বদিকের সীমানার খুঁটি উপড়িয়ে কাঁটাতারের বেড়া দুমড়ে-মুচড়ে পেছনের গেইট ভেঙে বাচ্চাসহ ১৭টি হাতির একটি দল মিশনের ভিতরে প্রবেশ করে। এতে মিশনের সীমানার গেইট সহ ৫০ ফুট কাঁটাতারের বেড়া বিনষ্ট হয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানায় মিশন কতৃপক্ষ।
হাতির দল মিশনের ভিতর প্রবেশ করে গাছপালা ভেঙে গাছের কাঁঠাল খেয়ে সাবাড় করে ফেলে। মিশনের ভিতর কয়েক ঘন্টা অবস্থান করে হাতির দল। মিশনের পুরোহিত ফাদার ডেভিড মৃধার বসতঘর ও কেয়ারটেকার বিহার দফু’র বসতঘর চারদিক থেকে ঘিরে রাখে হাতির দল। এমতাবস্থায় উভয়ের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে। বসতঘরে বন্দি অবস্থায় ডেভিড মৃধা মোবাইল ফোনে খবর জানান রামচন্দ্রকুড়া বিজিবি ক্যাম্প, পুলিশ ফাঁড়ি ও তার পরিচিত ব্যক্তিদের। দ্রুত লোকজন ছুটে আসে ঘটনাস্থলে সাথে স্থানীয়রা। সবাই মিলে একসাখে ধাওয়া করলে হাতির দল গভীর জঙ্গলে ফিরে যায়।
এলাকাবাসি আরো জানায়, হাতির দল মিশনের টিলায় ওঠার নতুন রাস্তার খোঁজ পেয়েছে। মিশনের উত্তরে কাটাতারের বেড়া না থাকায় ওই জায়গা অরক্ষিত। সে রাস্তা দিয়ে হাতি ওঠানামা করায় সামান্য বৃষ্টিতে টিলা ধসে যাচ্ছে। একারণে দিনরাত হাতি আতংকে রয়েছে পাহাড়িবাসি।
পানিহাটা মিশনের ফাদার ডেভিড মৃধা বলেন, হঠাৎ আমাকে ফোনে জানানো হলো যে, আমার ঘরের পাশে হাতি। আমি তাড়াহুড়ো করে জানালা দিয়ে দেখি আমার ঘরের চারদিক ঘিরে রেখেছে হাতির দল। বাকিরা কাঁঠাল খাচ্ছে। এ দৃশ্য দেখে ভয়ে আমার শরীর কাঁপতে থাকে। তবুও চুপিচুপি মোবাইল করে বিভিন্ন জায়গায় খবর দেই। ঘটনাস্থলে সবাই ছুটে আসে। আমাদের সহযোগিতা করে। সবাই মিলে একসাথে ধাওয়া করলে হাতির দল গভীর জঙ্গলে ফিরে যায়।