মোঃ মনিরুজ্জামান খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ভালুকা থেকে সখিপুর পর্যন্ত নির্মাণাধিন পিডিবি’র বিদ্যুৎ সঞ্চালন ৩৩হাজার ভোল্টেজের (এইচটি) লাইন স্থাপন করার মাস খানেক পর বেশ কয়েকটি খুঁটি তারসহ ভালুকা উপজেলার বর্তা এলাকায় মাছের খামারে পানিতে পড়ে গেছে। এ ছাড়াও ভালুকা খিরু ব্রীজের পাশে আরো কয়েকটি ঝুঁকিপূর্ণ খুঁটি রয়েছে যা একটু ভারী বর্ষণ হলেই যে কোনো সময় পড়ে গিয়ে দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
সংশিষ্ট সূত্রে জানাযায়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার বিদ্যুৎ লাইনের উন্নয়নের জন্য ময়মনসিংহ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা প্রকল্প নামে একটি প্রকল্প একনেক থেকে পাশ করা হয়। সেই প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহের ভালুকা গ্রীড থেকে টাঙ্গাইল জেলার সখিপুর উপজেলার সাব-স্টেশন পর্যন্ত সাড়ে ৩৩ কিঃ মিঃ ৩৩ হাজার ভোল্টেজের(এইচটি) লাইন জেএনএস এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গত ২০২০সালে কাজটি শুরু করেন।
প্রতিষ্ঠানটি কার্যাদেশ পাওয়ার পর থেকেই দায় সাড়া ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লাইনটি স্থাপনের েেত্র কাজটির প্রতি কোনো গুরুত্বই দিচ্ছে না। লাইন স্থাপনে ঠিক মতো গর্ত না করে বিশাল আকৃতির খুঁটি গুলো স্থাপন করার এক মাসের মাথায় উপজেলার বর্তা এলাকার বেশ কয়েকটি খুঁটি তারসহ মাছের খামারের পানিতে পড়ে গেছে।
খুঁটি গুলো ভালুকা সখিপুর সড়কের পাশে স্থাপন করা হয়েছে। রাস্তার এজিং থেকে মাত্র দেড় থেকে দুই ফুট দূরে অধিকাংশ খুঁটিই ঠিকাদার তার সুবিধার জন্য স্থাপন করছেন। সিলেট থেকে কিশোরগঞ্জ হয়ে ভালুকা-সখিপূর যমুনা সেতুর সংযোগ এ সড়কটির উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। যে কোনো সময় এ সড়কটি মহা সড়ক হিসাবে আরোও সম্প্রসারণ করা হতে পারে। এতে খুঁটি গুলো পুনঃরায় সরাতে গেলে সরকারের কোটি কোটি টাকার তির আশংকা রয়েছে। যদি রাস্তা থেকে একটু দূরে খুঁটি গুলো স্থাপন করা হতো,তাহলে অদূর ভবিষ্যতে এ ধরণের আর্থিক তির সম্ভাবনা ছিল না।
অপর একটি সুত্রে জানাযায়,গত বছর জেএনএস এন্টারপ্রাইজ ভালুকা উপজেলার বিদ্যুৎ লাইনের পাশের গাছ কাটার জন্য ২০লাখ টাকার একটি কার্যাদেশ পায়। ঠিকাদার ঠিকমত সেই গাছ গুলো না কেটেই পিডিবির কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বিলের সেই টাকা ভাগ বাটায়োরা করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। জেএনএস এন্টারপ্রাইজের মালিক ইপিয়ার হোসেনের মোবাইল নম্বর (০১৭১২০৩৮৮৯৫) একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জেএনএস এন্টারপ্রাইজের সুপারভাইজার শফিকুল ইসলাম জানান, খুঁটি গুলো হেলে পড়েছে রোজার মাসে। খুঁটি গুলো তুলতে হলে ক্রেন লাগবে। খুব শীঘ্রই ক্রেন পাঠিয়ে খুঁটি গুলো তুলে পূনঃরায় স্থাপনের ব্যবস্থা করা হবে। গাছকাটা প্রসঙ্গে তিনি আরো জানান, বিদ্যুৎ লাইনের পাশে গাছ আমরা সঠিক ভাবে কেটে যথাযথ নিয়মে বিল উত্তোলন করেছি।
প্রকল্পের টাঙ্গাইল অংশের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সালেহ জানান,এ লাইন স্থাপনে বন বিভাগের সাথে আমাদের অনেক যুদ্ধ করতে হয়েছে। যে কারণে লাইন স্থাপনে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। যে খুঁটি গুলো পড়ে গেছে খুব তাড়াতাড়ি আমরা পুনঃরায় স্থাপনের ব্যবস্থা করব।
সহকারী প্রকল্প পরিচালক চন্দ্র কুমার সুত্রধর জানান,যে খুঁটি গুলো পানিতে পড়ে গেছে ঠিকাদার তার নিজ দায়িত্ব মেরামত করে দিবেন। রাস্তার পাশে সওজ এর জায়গায় থাকার পরও কেন রাস্তার এজিনের কাছাকাছি খুঁটিগুলো কেন স্থাপন হচ্ছে, প্রকল্পটির শুরু ও শেষ কবে এবং ব্যয় কত? এসব প্রশ্নের কোনো সদোত্তর তিনি দিতে পারেন নি।