ময়মনসিংহে বস্তিবাসির মাঝে জেলা পুলিশের ১০ টাকায় দুদিনের আহার বিক্রি

প্রকাশিত: ৭:১৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ১২, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার : বসবাস বস্তিতে। ঘর-দরজা নেই বললেই চলে। কোন রকমে বসবাস করছেন স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে। আবার অনেকেই স্বামীহারা, স্বামী ও সংসার পরিত্যক্ত অবস্থায় বস্তিতেই বাস করছে কয়েক যুগ ধরে। নেই নির্ধারিত কাজ। যখন যা পায় তাই করে। এর পরও চলছিল তাদের সুখের সংসার। চলমান লকডাউনে কোন ধরণের কাজ না থাকায় একেবারে বেকার হয়ে পড়ে এই সমস্ত বস্তিবাসি। নগরীর জুবিলীঘাট বস্তিবাসির কথা বলছি। তাদের ঘরে চাল, ডাল লবণ নেই। এ অবস্থায় এগিয়ে আসে জেলা পুলিশ।

সবার রান্না ঘরে ভাতের গন্ধ ছুটুক” এ প্রতিপাদ্য নিয়ে দুঃস্থ/কর্মহীনদের জন্য স্বপ মুল্যের দোকান ১০ টাকায় দু’দিনের আহার বিক্রি কার্যক্রমের আওতায় সোমবার নগরীর জুবিলী ঘাট বিপীন পার্কে জেলা পুলিশ দেড় শতাধিক বস্তিবাসির কাছে দুদিনের আহার বিক্রি করে।


অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফাল্গুনী নন্দী উপস্থিত থেকে বস্তিবাসির মাঝে ১০ টাকায় দুদিনের আহার বিক্রি করেন। এর আগে ফাল্গুনী নন্দী বলেন, লকডাউনে মানবিক কারণে অসহায়, ছিন্নমূল, বস্তিবাসি, ও কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের পাশে রয়েছে জেলা পুলিশ। আমরা যতটুকু পারছি সহযোগীতা করছি।

তিনি আরো বলেন, মানবিক পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান জেলা পুলিশের আভ্যন্তরীণ সেচ্চা অনুদানের অর্থায়নে লকডাউনে নতুন করে বেকার, অসহায়, দুঃস্থ ও কর্মহীনদের পাশে দাড়িয়েছেন। সবার ঘরে রান্না ভাতের গন্ধ ছুটুক এ প্রতিপাদ্য নিয়ে ১০ টাকায় দুদিনের আহার বিক্রি করে আসছে। লকডাউন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই আহার বিক্রি চলমান রাখার দাবি করে জেলা পুলিশ।

বিতরনকৃত খাদ্যপন্যের মধ্যে ছিল, ৫ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, আধা লিটার সয়াবিন তেল, আধা কেজি লবন, দুই কেজি আলু, পরিমানমত মশলা, পেয়াজ, রসুন ও কাচা মরিচ।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান, ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ, পুলিশ পরিদর্শক ট্রাফিক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক ফারুক আহম্মেদ, এসআই আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।