মোঃ মিজানুর রহমান আকন্দ (ফুলপুর,ময়মনসিংহ) :
ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে বিশেষ তৎপরতায় কাজ করে যাচ্ছেন ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন। তারই ধারাবাহিকতায় পৌরসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের দেড় যুগের জলাবদ্ধতা নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছেন উপজেলা ও পৌরসভা প্রশাসন।
বিশেষ করে আমুয়াকান্দা ৯ নং ওয়ার্ডের ভূইদ্দা বুড়ি ও কুন্দা বুড়ি বিলের জলাবদ্ধতার কারণে দেড় যুগ ধরে তৎসংলগ্ন এলাকার মানুষজন চরম বিপাকে রয়েছেন। দীর্ঘদিন যাবৎ জলাবদ্ধতার কারণে এই বিল গুলোতে কোন রকম ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছেনা স্থানীয় কৃষকদের।
একসময় যে বিলে হাজার হাজার মণ ধান উৎপাদন হত আজ সেখানে শুধুই পানি আর পানি।
ধান উৎপাদন করতে না পারায় অনেকেই নিজ জমিতে মাটি কেটে তৈরী করেছেন মৎস ফিসারীজ। কিন্তুু পানি প্রবাহের সঠিক ব্যবস্থাপনা না রেখেই বেশীর ভাগ ফিসারীজ গুলো তৈরী করা হয়েছে। যার ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায় বিল সংলগ্ন পৌর রাস্তাগুলো এবং বাড়ি-ঘরে উপচে ওঠে বিলের পানি।
কৃত্রিমভাবে গড়ে ওঠা এইসব ফিসারিজ এবং অপরিকল্পিত কিছু স্থাপনা নির্মাণের জন্য বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করতে হয় এ দুই বিল সংলগ্ন এলাকাবাসীর। ১৭ ই আগস্ট বুধবার বিকেলে সরেজমিন পরিদর্শন করে একটি বৈঠকের মাধ্যমে এই জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস দেন ফুলপুর উপজেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়র।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে পানি প্রবাহের একটি অস্থায়ী সমাধানেরও উদ্যোগ নেন তারা। এসময় পানি প্রবাহে বাঁধা সৃষ্টি করে অপরিকল্পিতভাবে তৈরী ফিসারীজ গুলোতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এতে
উপস্থিত ছিলেন, ফুলপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা আক্তার ববি, পৌর মেয়র শশধর সেন, পয়ারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম, ৯ নং পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোশাররফ হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এ কে এম সিরাজুল হক, ফুলপুর রাইস মিল মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম শহিদুল হক, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক, নোমান মেম্বার, সাংবাদিক এ টি এম রবিউল করিম, আতিকুর রহমান আতিক, মিজানুর রহমান আকন্দ, বাহার উদ্দিন, মিজানুর রহমান সুজনসহ স্থানীয় এলাকাবাসী।