ত্রিশালে ইয়াসিন হত্যাকান্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৭:০৯ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১

ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ত্রিশালে ধানীখোলা ইউনিয়নের কাটাঁখালী গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে ইয়াসিন আলী শ্রমিকের কাজ করতেন একটি মৎস্য খামারে।

গত ২৭ জুলাই খামার থেকে বাড়ি ফেরারপথে স্থানীয় ইকবাল ও তার সহযোগীরা প্রকাশ্য দিবালোকে ইয়াসিনের পথরোধ করে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপুরি আঘাত করে। টানা ৩৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৯ আগস্ট ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

ঘটনার দিন রাতেই ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের করলেও দীর্ঘ দেড়মাসেও হত্যাকান্ডে জড়িতরা গ্রেফতার না হওয়ায় দ্রুত গ্রেফতার ফাঁসির দাবিতে গতকাল শনিবার সকালে ত্রিশাল-কাটাঁখালী সড়কে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করেন স্থানীয় এলাকাবাসি।

ঘটনাসূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধানীখোলা ইউনিয়নের কাটাখালী গ্রামের শাহাব উদ্দিনের ছেলে ইয়াসিন আলী শ্রমিকের কাজ করতেন স্থানীয় একটি মৎস্য খামারে।

খামার ঘরে মোবাইল ফোন চার্জ দিয়েছিল বলে দাবি করে প্রতিবেশী ইকবাল নামে ছেলে ইয়াসিন আলীর সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে। গত ২৭ জুলাই দুপুরে খামার থেকে বাড়ি ফেরারপথে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু বাজারে পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ইয়াসিন আলীর উপর হামলা করে ধানীখোলা ইউনিয়নের উজানদাস পাড়া গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর তিন ছেলে ইকবাল হোসেন, খায়রুল ইসলাম ও লাল মিয়া। হামলাকারীদের ধারালো ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হন ইয়াসিন আলী। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে ৩৩ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ২৯ আগস্ট রাতে চিকিৎসাধীন তার অবস্থায় মৃত্যু হয়।

এদিকে ঘটনার দিন (২৭ জুলাই) রাতেই নিহত ইয়াসিন আলীর ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ দেড়মাসেও হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। দ্রুত আসামিদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে গতকাল শনিবার সকালে ত্রিশাল-কাটাঁখালী সড়কে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করেন স্থানীয় এলাকাবাসি।

প্রখর রোদকে উপেক্ষা করে এলাকার সহশ্রাধিক নারী পুরুষের সঙ্গে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধনে অংশ নেন, নিহত ইয়াসিনের বৃদ্ধ পিতা শাহাব উদ্দিন, শাশুড়ি লাইলী বেগম, স্ত্রী হালিমা খাতুন, বড় মেয়ে ফাউজিয়া আক্তার মিম ও ছেলে মাহিম।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মামলার দেড়মাস অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারনে আসামি ধরতে পুলিশের কোন তৎপরতা নেই। প্রধানমন্ত্রীসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে যেন দ্রুত হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার ও কঠিন বিচার নিশ্চিত হয়।