গফরগাঁও ( ময়মনসিংহ ) সংবাদদাতা :
২৫ বছর পর আকলিমা (৩১) খুঁেজ পেলেন তাঁর ঠিকানা। ফেসবুকের কল্যাণে ২৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া আকলিমা খুঁজে পেলেন তার স্ব্জনদের। আরজে কিবরিয়ার এফএম রেডিওর অনুষ্ঠানে (বর্তমানে) আঁখি নূরের একটি সাক্ষাতকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে মেয়ের সন্ধান পান অঅকলিমার বাবা-মা।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের মাইজবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা মানিক মিয়ার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে । ২৫ বছর আগে ঢাকার গুলিস্তান এলাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে হারিয়ে যায় বড় মেয়ে ছয় বছর বয়সী আকলিমা। ।
বাবা মানিক মিয়া(৬০) জানায়, তার মেয়ে আকলিমাকে ১৯৯৬ সালে ঢাকায় নিয়ে যান।তখন আকলিমারবয়স ছয় বছর। সেদিন গুলিস্তান মোড়থেকে মেয়ে নিখোঁজ হন। তিনি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়লে তাকে আটক রেখে টাকা পয়সা ছিনিয়ে ছেড়ে দিলেও মেয়েকে আর খুঁজে পাননি। দীর্ঘ ২৫ বছর বাংলাদেশের বহু জায়গায় তিনি মেয়েকে খুঁজে ফিরেছেন।
সেসময় আকলিমারর সন্ধান চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। আকলিমা জানায়,বাবাকে না পেয়ে কান্নাকাটি করে একটি বাসে উঠে পড়েন। এক লোক তাকে নিয়ে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে তাকে দিয়ে আসেন। আশ্রয় কেন্
দ্রেই বড় হয়ে উঠেন। ফেসবুকে কিবরিয়ার অনুষ্ঠান দেখে সাক্ষাৎকরেন ।পরে এই সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়।
জানা যায়, আকলিমা এক সময় বিউটি পার্লার এর কাজ শুরু করেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আশুলিয়ার মাসুম মোল্লার সাথে পরিচয় ও সংসার।তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে।মানিক মিয়া মেয়ে-জামাতা, নাতি-নাতনি নিয়ে গ্রামের বাড়ি গফরগাঁও উপজেলার লংগাইর ইউনিয়নের মাইজবাড়ীতে আসেনদীর্ঘ ২৫ বছর পর গত শুক্রবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে।বাবা-মাকে কাছে পেয়ে আকলিমা তাদের জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ছোট বোন আমেনা বলেন, ‘বোনের ছোট বেলার অনেক স্মৃতি আমার মনে আছে। বোনকে হারানোর পর সব সময় মন খারাপ থাকতো। তবে মায়ের বিশ্বাস একদিন ঠিকই আকলিমাফিরে আসবে।
’বাবা মানিক মিয়া বলেন, মেয়েকে খুঁজে পাবো তা কখনও কল্পনাও করিনি। সন্তান হারানোর ব্যাথা বুকে নিয়ে ২৫ বছর ঘুরেছি।
আকলিমার স্বামী মাসুম মোল্লা বলেন, সব কিছু জেনেই তাকে বিয়ে করি। আল্লাহর ইচ্ছায়এই খুশির দিন পেলাম।