স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ৯ নং খাগডহর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতি, উন্নয়ন কাজের তহবিল আত্নসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, নির্বাচিত সদস্যগণের সাথে অশালীন-অসৌজন্য আচরন, সরকারী ৩১ লাখ ৮২ হাজার ১শ’ ৮৩ টাকা আত্মসাৎসহ সুনির্দিষ্ট ১০টি অভিযাগ উত্থাপন ও অনাস্থা জ্ঞাপন করে গতকাল রোববার (১৭ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ১১ জন সদস্য।
সাংবাদিক সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্য বলেন নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান নির্বাচিত ১১ জন সদস্যের সঙ্গে কোন যোগাযোগ-আলোচনা না করে মাত্র একজন সদস্যকে নিয়ে মনগড়া ভাবে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে সভা দেখিয়ে পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এক্ষেত্রে তিনি ১১ জন সদস্যের স্বাক্ষর জাল করে ভূয়া রেজুলেশন দেখিয়ে এলজিএসপি, মানবিক, হতদরিদ্রদের সহায়তা, যত্ন প্রকল্প সহ নানা কাজের প্রকল্প দাখিল করেন এবং প্রকল্প পাশ হয়ে এলে ভূয়া কাগজপত্র সৃষ্টি করে কাজের সাকুল্য বরাদ্ধ আত্বসাত করে আসছেন। তার এসব অনিয়ম-অবৈধ কাজে বারবার বাধা দিলেও তিনি তা না শোনে যথেচ্ছা ভাবেই চালিয়ে যান। তার এসব দুর্নীতির প্রতিবাদে চলতি মাসের ১২ তারিখ পরিষদের ১২জন সদস্যের মধ্যে ১১ জনই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়-তার দুনীতির প্রতিবাদ করলে ও পরিষদের সভা ডাকার তাগিদ দিলে কোনই কর্নপাত করেননি চেয়ারম্যান।
এরূপ প্রহসন চলা অবস্থায় পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান-২ একরামুল হক সুনির্দিষ্ট আলোচ্যসূচি দিয়ে ২৬/০৯/২১ইং তারিখ পরিষদের এক সভা আহবান করেন। পরদিন ২৭/০৯/২১ইং তারিখ সকাল ১১টায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের ১১ সদস্যের উপস্থিতিতে ওই সভায় অনিয়ম-দুর্নীতির বিস্তারিত আলোচনান্তে সর্বসম্মতিক্রমে চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খান এর উপর অনাস্থা প্রস্তাব গৃহিত ও পাশ হয়। যা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ইতোমধ্যে পেশ করা হয়েছে। এই অনাস্থা প্রস্তাাবের বিষয়ে প্রশাসন যত শীঘ্র সম্ভব যথাযথ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেই সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ইউপি সদস্যগণ আশাব্যক্ত করেছেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত খাগডহর ইউপি’র সদস্যগণ হলেন-একরামুল হক, মোঃ নায়েব আলী, মাহমুদুল হাসান সুমন, লায়লা সুলতানা, জামাল উদ্দিন, ইসমতারা মীরা, আসমা খাতুন, সুরুজ মিয়া, বাবুল মিয়া, মোঃ মুর্তজা আলী ও ফয়জুর রহমান।