গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
দেশে প্রথম ‘রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারের’ আগুন নির্বাপণ মহড়া, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জান-মাল রক্ষায় বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ফায়ার সার্ভিসের সর্বো”চ রাষ্ট্রীয় পদক পেলেন ইকবাল হাসান। তিনি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের মৃত নবী হোসেনের পুত্র।
সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. মোকাব্বির হোসেন বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত ৬ নভেম্বর এ রাষ্ট্রীয় পদক প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
এলাকায় শৃঙ্খলিত জীবনের প্রতীক ইকবাল হাসান। বইপড়া কর্মসূচীর মাধ্যমে সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন তিনি। ছাত্র জীবনে স্কাউটের দীক্ষা আর বিএনসিসি’র শিক্ষামূলক কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে সেবামূলক কর্মকান্ডে মনোনিবেশ করেন।
তিনি দেশে প্রথম ‘রান্না ঘরের গ্যাস সিলিন্ডারের আগুন নির্বাপণ’ পদ্ধতি নিয়ে মহড়া করেন। যা ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভিউয়ার্স এক কোটি ছাড়িয়ে গেছে। তিনি যেখানেই যোগদান করেন সেখানেই ছড়িয়ে দিয়েছেন ‘অগ্নিনির্বাপণ’ সামগ্রী। ঝুঁকিপূর্ণ প্রত্যেকটি শিল্প-কারখানা, হাট-বাজারে ১হাজার ৯শ ২৮টি মহড়া করেছেন। যেখানে লাখো শ্রমিক ও জনতা উপকৃত হন।
ইকবাল হাসান ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরে ২০০৪ সালে স্টেশন অফিসার হিসেবে ময়মনসিংহে প্রথম যোগদান করেন। এরপরে তিনি টাংগাইল, মধুপুর, কিশোরগঞ্জ ও ভালুকায় সিনিয়র স্টেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে টংগী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ২০২০ সাল থেকে সিনিয়র স্টেশন অফিসার পদে কর্মরত রয়েছেন।
তাঁর বাবা নবী হোসেনও ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার কর্মকর্তা। তার মা মোছা. রোকেয়া বেগম সুগৃহিণী। তিনি রামগোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার হাতেখড়ি এবং রামগোপালপুর পিজেকে উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৫সালে এসএসসি পাস করেন। ময়মনসিংহ আনন্দ মোহন কলেজ থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেন। এ কর্মকর্তার রাষ্ট্রীয় পদকপ্রাপ্তি এলাকায় বইছে আনন্দের বন্যা।