নেত্রকোনা প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ১নং বালু মহালের ডাইভারশনের টাকা উত্তোলনে আধিপত্যের জের ধরে উপজেলা যুবলীগের দুই অনুসারী গ্রুপের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের গুরুতর জখম হয়েছেন ৬জন। মঙ্গলবার দুপুরে পৌর সদরের আত্রাখালী এলাকায় এ সংষর্ঘের ঘটঁনাটি ঘটে। আহতরা হলো উপজেলার খালিশাপাড়া গ্রামের মন্নাছ মিয়ার ছেলে মাইন উদ্দিন(৩৫),ফুলপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে সেলিম(৩০),খালিশাপাড়া গ্রামের নুরুল হকের ছেলে আবু বক্কর শান্ত(২৪),শ্রীরামখিলা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে শাকিব(২০)শান্তিপুর এলাকার হারিছ বেগ এর ছেলে মো. মামুন বেগ(৩৯) ও কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা গ্রামের আবুল বাসারের পুত্র শাহাদাত(৩৪)। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মেহেদি হাসান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম আকঞ্জির অনুসারীরা ১নং বালু মহালের ডাইভারশন থেকে ট্রাক প্রতি ৩শত টাকা উত্তোলন করে আসছিল। এতে যুবলীগের নাম বিক্রি করে টাকা উত্তোলন করায় বঞ্চিতরা চরমভাবে ক্ষোদ্ধ হন। এতে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলাম এতে আপত্তি জানান। বেশকদিন ধরেই ওই বিষয়টি নিয়ে দুই গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাদ্দাম আকঞ্জি ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলেও জানা গেছে। এ বিষয়ে তার বক্তব্য নিতে চাইলে মুঠোফোনে কল দিয়েও কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ওই বালু মহালের আত্রাখালী এলাকায় বালুর ডাইভারশন নিয়ন্ত্রনে অবস্থান করছিল সাদ্দাম আকঞ্জির অনুসারীরা। অপরদিকে উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে পৌরসদরের সিনেমা হলের ভিতরে তার অনুসারীরা সকাল থেকেই অবস্থান করছিল। পরে মাজহারুল লোকবল নিয়ে দুপুর পৌনে ২টার দিকে সোমেশ্বরী নদীর শ্মশানঘাট এলাকায় গেলে দুই পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষ শুরু হয়। তবে সকাল ১১টা থেকেই ঘটনাস্থলে পুলিশ অবস্থান করছিল।
যুবলীগের সহসভাপতি হাজী মাজহারুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান,উপজেলা যুবলীগের নাম বিক্রি করে ট্রাক প্রতি ৩শ টাকা চাঁদা আদায় করছেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদেও ভাইসচেয়ারম্যান সাদ্দাম আকঞ্জি। সম্প্রতি আমার নাম জড়িয়ে একটি পত্রিকায় চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আমি কোনভাবেই চাঁদাবাজি কর্মকান্ডের সাথে জড়িত নই। আমি যুবলীগ নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে যুবলীগের নামে কোন চাঁদা উত্তোলনের বিষয়টি নিয়ে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানাতে চেয়েছিলাম। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাদ্দাম অনুসারীর লোজজন আমার সহপাঠী ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। গুরুতর জখম হয়েছে ৬জন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০-২১জন।
দুর্গাপুর থানার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মীর মাহবুব জানান, পুলিশ প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্বক শক্ত অবস্থানে ছিল। ঘটনার বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। পরবর্তীতে বিধিমোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।