কলি হাসান, দুর্গাপুর(নেত্রকোনা )প্রতিনিধি :
টানা ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর তীরে ও নেতাই নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে করে উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নের উওর ফারংপারা ও ভবানীপুর গ্রামের বেশকিছু অংশ ভেঙে গেছে। অপর দিকে গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের বন্দউষান গ্রামের ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা আব্দুছ সালামের বাড়িটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। মঙলবার দুপুরে সরেজমিন ঘুরে এমন ভাঙন দৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের ফারংপাড়া গ্রামে নদীর ভাঙনে বিলীন হতে চলেছে দুই গ্রামের চলাচলের একমাত্র রাস্তা। এতে নদীর তীরের দুই গ্রামের মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছেন। হুমকির মুখে রয়েছে ফসলি জমি, বসতভিটা,ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ভাঙন রোধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া না হলে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। বর্তমানে ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে সেখানকার শত শত পরিবার। ভাঙন রোধে দ্রুত ওই এলাকায় স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শিক্ষার্থী দিবস সাহা জানান, উত্তর ফারংপাড়া থেকে ভবানীপুর এলাকার রাস্তায় যেভাবে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে তা অব্যাহত থাকলে রাস্তা নদীগর্ভে চলে যাবে। এতে করে ওই গ্রামের শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ব্যবস্থা নাজুক হয়ে পড়বে। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের আবেদন জানাই।
উওর ফারংপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ফজর আলী জানান,রাস্তার দুই কিলোমিটার অংশে যেভাবে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে আমাদের বাড়ি-ঘর,জমিজমা অনিশ্চয়তার মুখে রয়েছে। সরকারের কাছে আমাদের দাবি এই জায়গায় স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণের যেনো ব্যবস্থা করে দেয়। তা না হলে আমরা ভিটে মাটি জমি-জমা হারিয়ে নিঃশ্ব হয়ে যাবো।
নেতাই নদীর ভাঙনে নদী গর্ভে বসতবিটা বিলীন হয়ে যাওয়া আব্দুছ সালাম জানান, গত বছর বন্যার সময় নদীর ভাঙনে আংশিক অংশ ভেঙে গিয়েছিল। স্থানীয়রা বাঁশ পুতে কোনমতো বাড়িটিকে রক্ষা করেছিলাম কোনমতো। এবারের বন্যার কড়াল গ্রাসে নদী গর্ভে বিলীন হয় যায়। স্ত্রী-পুত্র সন্তানদের নিয়ে অন্যের বাড়িতে বসবাস করছি। বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করেছেন বলেও তিনি জানান।
ইতিমধ্যে নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও)মোহাম্মদ রাজীব উল আহসান।
এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জানান, আমাদের অফিসের লোকজনকে মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছেন। দ্রুত নদী ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।