স্টাফ রিপোর্টার : বৃহস্পতিবার থেকে ময়মনসিংহে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। ময়মনসিংহ জেলার ১৪৫টি ইউনিয়নে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮ জন উপকারভোগীর মাঝে ১৫ টাকা কেজি দরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি হারে প্রায় ৮ হাজার ৯৪২ মেঃ টন চাল বিতরণ করা হবে। ইতোমধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ভোক্তাদের ডিজিটাল ডাটাবেজে ভোক্তা তথা উপকারভোগীদের তথ্য আপলোড করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক এ ডাটাবেজে যাচাইকৃত যেসকল উপকারভোগীর তথ্য সঠিক পাওয়া যাবে তারা এ কর্মসুচির আওতায় চাল ক্রয় করতে পারবেন এবং যেসকল উপকারভোগীর তথ্য ভুল পাওয়া গেছে এমনকি সরকারি অন্যান্য ক্যাটাগরিতে সুবিধা পাচ্ছেন তারা এ কর্মসুচির আওতায় আসবে না। তাই তারা চাল ক্রয় করতে পারবেন না। এছাড়া ডিজিটাল ডাটাবেজে আপলোডকৃত যেসকল উপকারভোগীর তথ্য এখনও যাচাই করা সম্ভব হয়নি, তারা যাচাই সাপেক্ষে চাল ক্রয় করতে পারবে। ওএমএস, টিসিবি এবং খাদ্য বান্ধব কর্মসুচি উদ্বোধন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রহমান বিশ্বাস এ সব কথা বলেন।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শফিকুর রহমান বিশ্বাস, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ন সচিব রায়না আহাম্মদ, বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক আমিনুল এহসান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জনসাধারণকে সরকারের পক্ষ থেকে ভর্তুকিমূল্যে এবং চাল ও আটার বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখতে দেশব্যাপী ওএমএস কার্যক্রম সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতিপূর্বে ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে মঞ্জুরিকৃত ১৭টি দোকানে দৈনিক ১ মেঃ টন করে ১৭ মেঃ টন চাল এবং দোকান প্রতি দৈনিক ৫০০ কেজি করে ৮.৫০০ মেঃ টন আটা বিক্রয় করা হচ্ছিল। ওএমএস কার্যক্রম সম্প্রসারণের ফলে বৃহস্পতিবার থেকে সিটি কর্পোরেশনে ১৭টির প্রতিটিতে দৈনিক ২ মেঃ টন করে মোট ৩৪ মেঃ টন চাল ও ৫০০ কেজি করে মোট ৮.৫০০ মেঃ টন আটা বিক্রয় করা হবে। এছাড়া ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনে ৭টি ট্রাকের মাধ্যমে প্রতিটিতে দৈনিক ২ মেঃ টন করে মোট ১৪ মেঃ টন চাল বিক্রয় করতে পারবেন। ময়মনসিংহ জেলা সদর বহির্ভূত ২টি উপজেলা ও ১০টি পৌরসভায় ৪২টি দোকানে দৈনিক ০২ মেঃ টন করে মোট ৮৪ মেঃ টন চাল বিক্রয় করতে পারবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন টিসিবি কার্ডধারীগণ ওএমএস এর ন্যায় ন্যায্য মূল্যে মাসে ১০ কেজি চাল পাবেন। ওএমএস কার্যক্রমে টিসিবি’র কার্ডধারীগণকে ৫ কেজি করে মাসে দুই বারে ১০ কেজি চাল পাবেন। টিসিবি’র কার্ডধারীগণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাল প্রদান করা হবে এবং তাদের জন্য ওএমএস কার্যক্রমে পৃথক লাইনের ব্যবস্থা করা হবে। সাধারণ ক্রেতাগণ জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি জমা দিয়ে এবং টিসিবি’র কার্ডধারীগণ কার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে চাল ক্রয় করতে পারবেন। পরে বিভাগীয় সাংবাদিকদেও সাথে নিয়ে ওএমএস কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন।