নিজস্ব প্রতিবেদক, নান্দাইল থেকে:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে বাড়ির সামনে খেলাধূলা করার সময় এক শিশুকে মাথার ওপরে তোলে মাটিতে আছড়ে দেয়া হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হওয়ার এক সপ্তাহ পর তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত শিশুর নাম ইমরান মিয়া (৯)। সে উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের বিলভাদেরা গ্রামের মো. সবুজ মিয়ার পুত্র এবং স্থানীয় দাসপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মােহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, স্বজনরা নিহত শিশুর মরদেহটি গত বুধবার গভীর রাতে হাসপাতাল থেকে নান্দাইল মডেল থানায় নিয়ে আসে।
বৃহস্পতিবার সকালে সুরতহাল সম্পন্ন করার পর মরদেহটি ময়নাতদন্ত করার জন্য কিশোরগঞ্জের ২৫০ শয্যার হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো এজাহার দেওয়া হয়নি।
উপজেলার বিলভাদেরা গ্রামে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় প্রতিবেশি শিশুদের সাথে ইমরান মিয়া একই এলাকার শফিকুল ইসলামের বাড়ির সামনে খেলাধুলা করছিল। বাড়ির সামনে খেলাধুলা করার জন্য শফিকুলের ছেলে মো. শাওন মিয়া (১৮) শিশুদের দৌড়ানি দেয়। অন্য শিশুরা দৌড়ে পালিয়ে যেতে পারলেও ইমরানকে ধরে ফেলেন শাওন মিয়া। পরে তাকে মাথার ওপরে তোলে মাটিতে আছড়ে ফেলেন। এতে শিশুটি গুরুতরভাবে আহত ও অচেতন হয়ে পড়ে। পরে স্বজনরা শিশুটিকে বিভিন্নস্থানে নিয়ে চিকিৎসা করালেও সে পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।
গত বুধবার রাতে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে নান্দাইল শহরে এনে একজন চিকিৎসককে দেখানো হয়। ওই চিকিৎসক শিশুটিকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সেখানে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়। স্বজনরা মরদেহটি থানায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাওন মিয়াকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। শাওনের দাদা মো. ফজলুর রহমান বলেন, শাওন কোথায় আছে তা তিনি জানেন না। গ্রামের লোকজন জানান, ইমরানের মৃত্যু সংবাদ গ্রামে পৌছার পর শাওন মিয়া গা ঢাকা দিয়েছেন।