ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা :
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অপহরণ চেষ্টাকালে ৪ জনকে স্থানীয়রা আটক করে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশে সোপর্দ করে। বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। অপহরণ থেকে বেঁচে যাওয়া বেকারি ডেলিভারিম্যান ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ত্রিশাল ইউনিয়নের বাগান গ্রামের মো. মনিরুজ্জামানের ছেলে মুক্তার হোসেন (৪০) ।
আটককৃতরা হলেন- গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বরমি ইউনিয়নের কায়েদ পাড়া গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল্লাহ জুয়েল (২৮), ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের নূরুল ইসলামের ছেলে সারোয়ার (৩৫), হালুয়াঘাট উপজেলার গাজীর ভিটা ইউনিয়নের আয়লা তলি গ্রামের খালেক ওরফে সালামের ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩০) ও দুরাল ইউনিয়নের মোমেনপুর গ্রামের নিজামুদ্দিনের ছেলে কামাল হোসেন (২৭)।
ভুক্তভোগী মুক্তার হোসেন জানান, সে কাজ শেষে ঈশ্বরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিলেন। যাত্রা পথে গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর অতিক্রম করতেই প্রাইভেটকার দিয়ে কয়েকজন লোক তাঁর গাড়ির গতিরোধ করে। তখন তারা ডিবি পরিচয়ে তাঁর কাছে মাদক আছে বলে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে প্রাইভেট কারে তুলে। পরে গাড়িতে তুলে ডিবি পরিচয়ধারীরা তাকে ইট ও লাঠি দিয়ে মারাত্মকভাবে আঘাত করতে থাকে। তখন সে প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার করতে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রামগোপালপুর থেকে অপহরণের গাড়িটি মুক্তারকে নিয়ে নান্দাইল-কিশোরগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। তখন মুক্তারের আত্মচিৎকার শুনে স্থানীয়রা ধাওয়া করে ঈশ্বরগঞ্জ পৌর বাজার এলাকায় ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী চার ব্যক্তিকে গাড়িসহ আটক করে। পরে ময়মনসিংহ -কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে থাকা ড্রাইভার ও উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আহত ডেলিভারিম্যানকে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌরীপুর সার্কেল মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এঘটনায় মামলা হবে। আহত মুক্তার হোসেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে থানা আসছে। মামলা শেষে আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।