জাহাঙ্গীর হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার : শেরপুরের নকলায় পারিবারিক কলহের জের ধরে এক গৃহবধূকে নির্মমভাবে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ৩ ডিসেম্বর শনিবার রাতে চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের জানকীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত গৃহবধূর নাম শাহানাজ বেগম (৩৫)। সে জানকীপুর গ্রামের শাহ জামালের মেয়ে এবং ২ সন্তানের জননী। ঘটনার পর থেকে শাহনাজের স্বামী রাসেল খান (৫০) পলাতক রয়েছে।
শাহানাজের মা লাকী বেগম (৫৫) জানান প্রায় ২০ বছর আগে শাহনাজের প্রথম বিয়ে হয় পাশ্ববর্তী বাড়ির সুরুজ মিয়ার ছেলে মানিক মিয়ার সাথে। ১২ বছর আগে তাঁদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। সে সংসারে শাহনাজের ২টি সস্তান রয়েছে।
পরবর্তীতে জীবিকার তাগিদে শাহনাজ গাজীপুরের ঘরঘরিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় একটি পোশাক তৈরি কারখানায় কাজ নেয়। সেখানে পরিচয় হয় স্থানীয় মজিবর রহমানের ছেলে রাসেল খানের (৫০) সাথে। পরিচয়ের একপর্যায়ে তারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু রাসেলের স্ত্রী-সন্তান থাকায় এ নিয়ে পারিবারিক অশান্তি বাড়তে থাকে।
বছর তিনেক আগে শাহানাজ রাসেলকে নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসে। সেখানে আলাদা বাড়িতে থেকে দিনমজুরের কাজ করে চলত তাদের সংসার। কিন্তু পারিবারিক অশান্তি তাদের পিছু ছাড়ছিলনা। প্রতিদিনের মত ৩ ডিসেম্বর শনিবার রাতে তাঁদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে রাসেল শাহনাজকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং বাহির থেকে ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।
সহকারি পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া জানান পারিবারিক অশান্তির কারণে ৩ ডিসেম্বর শনিবার রাত ১০টার পর হতে ৪ ডিসেম্বর রবিবার ভোররাতের আগে কোন একসময় রাসেল হত্যাকান্ডটি ঘটিয়ে থাকতে পারে। সকালে খবর পেয়ে চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ও নকলা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এব্যাপারে শাহনাজের মা লাকী বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রাসেলকে গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান চলছে।