এম. উজ্জ্বল (নালিতাবাড়ী) শেরপুর প্রতিনিধি: যথাযথ মর্যাদায় নানা কর্মসুচীর মাধ্যমে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে খ্রিস্টভক্তদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড় দিন পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে রবিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বারমারী এলাকার সাধু লিওর গীর্জাসহ উপজেলার ৪৮ টি উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
বারমারী সাধু লিওর গীর্জায় খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন ওই ধর্মপল্লীর পাল পুরোহিত রেভারেন্ট ফাদার তরুণ বনোয়ারী। এরআগে তিনি শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১২.০১ মিনিটে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে নবজাতক যিশুকে গোশালায় স্থাপন করেন। একইসাথে উপজেলার মেষকুড়া, কালাকুমা ও খলিশাকুড়া উপাসনালয়ে খ্রিস্টযাগ উৎসর্গ করেন সহকারী পালপুরোহিত রেভারেন্ট ফাদার প্রদীপ ম্রং। খ্রিস্টভক্তরা জানান, রবিবার সকালে বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে বড় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়। সাধু লিওর ধর্মপল্লী প্রাঙ্গণে খ্রিস্টমাচ ট্রি সাজানো হয়। বড় দিনের কেক কেটে শুভে্চছা বিনিময় করেন নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খৃষ্টফার হিমেল রিছিল। এসময় প্রিয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত সছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইফফাত জাহান তুলি, নালিতাবাড়ী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন, বারমারী ধর্মপল্লীর ভাইসপ্রেসিডেন্ট, উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মি. লুইস নেংমিনজা, পোড়াগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বন্দনা চাম্বুগং, আদিবাসী নারীনেত্রী ক্লোডিয়া নকরেক কেয়া, ট্রাইবালের কোষাধক্ষ্য লিটন ডেবিট, শিক্ষক সুচিত্রা চিসিম ও জনমাংসাং প্রমুখ।
বড় দিন উপলক্ষে রবিবার গীর্জায় প্রার্থনাসহ বাড়ি বাড়ি চলে সংকীর্তন ও বিশেষ প্রীতিভোজ। এছাড়া সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে পুর্ব নির্ধারিত স্থানে সামাজিক প্রীতিভোজের মাধ্যমে বড় দিনের সমাপ্তী হবে বলে খ্রিস্টভক্তরা জানান। এদিকে, খ্রিস্টানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড় দিন উপলক্ষে তাদেরকে বড় দিনের শুভে”ছা জানিয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও স্থানীয় এমপি অগ্নিকন্যা বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার, পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বিপিএম, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা বাবু গোপাল চন্দ্র সরকার ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া বড় দিনের আনন্দকে ভাগাভাগি করতে জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে বড় দিনের উপহার হিসেবে জেলার বিভিন্ন গীর্জায় কেক পাঠানো হয়। এতে খ্রিস্টভক্তরা যেন মহা খুশি।