স্টাফ রিপোর্টার : আনন্দ মোহন কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মাহমুদ জাহাঙ্গীর হাসান গতকাল বিকাল চারটায় নেক্সাস হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেছেন ( ইন্নালিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই কন্যা রেখে গেছেন।
আজ ১২ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় আনন্দ মোহন কলেজ মাঠে প্রথম যানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে এবং ২য় যানাজার নামাজ বাহ জোহর ময়মনসিংহ জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হবে। মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে সাবেক প্রফেসর মাহমুদ জাহাঙ্গীর হাসান আত্নার মাগফেরাত কামনা করেছেন।
প্রফেসর মাহমুদ জাহাঙ্গীর হাসান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালঢ থেকে শিক্ষা সমাপ্ত করে ১৯৬৪ সনে সরকারিকরণের পর প্রাণীবজ্ঞানের লেকচারার হিসাবে আনন্দমোহন কলেজে যোগদান করেন। সহকারি অধ্যাপক পদে পদোন্নতির পর তিনি যোগদান করেন রংপুর কারমাইকেল কলেজে। কারমাইকেল কলেজে দীর্ঘকাল শিক্ষকতার পর বদলি হয়ে চলে আসেন ময়মনসিংহের মুমিনুন্নেসা কলেজে। অধ্যাপক পদে পদন্নোতির পর আনন্দমোহন কলেজে প্রাণীবিজ্ঞান বিভাগে যোগ দেন। তারপর এই কলেজে উপাধ্যক্ষ পদেও কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে শেরপুর সরকারি কলেজে অধ্যক্ষ পদে যোগ দিয়েছিলেন। শেরপুরের আগে কিছুদিন খুলনা বিএল কলেজেও অধ্যাপনা করেছেন। শেরপুর কলেজ থেকেই তিনি ২০০০ সনে অবসরে যান। প্রফেসর মাহমুদ জাহাঙ্গীর হাসানের পৈতৃক বাড়ি জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জে। তাঁর পিতা স্থনীয় হাইস্কুলের হেডামাস্টার ছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও দুই কন্যা রেখে গেছেন। তাঁর বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার, বড় মেয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট।বর্তমানে দুইজনই প্রবাসে। ছোট ছেলে মাহমুদ জাভেদ হাসান পরাগ ডাক্তার, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, ও হাসপাতালে কর্মরত আছেন। প্রফেসর জাহাঙ্গীর হাসান ছিলেন খুবই নিষ্ঠাবান,অসাধারণ মাপের একজন শিক্ষক। জীববিজ্ঞান বিষয়ে অনেকগুলি গ্রন্থ রচনা করেছিলেন।