গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে পৃথক ঘটনায় দুইটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। একজন স্বামী ও সৎ শাশুড়ির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এবং অপর ব্যক্তি হতাশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করেন।
উপজেলার কদম রসুলপুর গ্রামের গৃহবধূ মৌসুমি আক্তার (২৯) তার স্বামী ইমরান হোসেন (৩৫) ও সৎ শাশুড়ি সাজেদা খাতুনের (৪৫) অত্যাচার সইতে না পেরে শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বসত ঘরের ধর্নার সাথে কাপড় পেচিঁয়ে আত্মহত্যা করেন। নিহত মৌসুমি আক্তারের ভাই হাবিবুর রহমান হাবিব (৩৫) জানায়, ঘটনার দিন শুক্রবার সকালে আমার বোনের সাথে তার সৎ শাশুড়ির ঝগড়া হয় । এর জের ধরে বোন জামাই ইমরান ও তার সৎ মা সাজেদা আমার বোনকে অনেক মারধর করে। বোন জামাই ইমরান ও তার সৎ মা সাজেদা আমার বোন মৌসুমি আক্তারকে প্রায়ই মারধর করতো। অত্যাচার সইতে না পেরে আমার বোন আত্মহননের পথ বেছে নেয়।
অপরদিকে উপজেলার ছিপান গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে রাসেল মিয়া (৩১) শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে নিজ বসত ঘরের ধর্নার সাথে রশি বেঁধে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। এ সময় বসত ঘরে কেউ ছিল না। রাসেল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী পলি আক্তার (২২) উপজেলার কলুরগাঁওয়ে তার বাবার বাড়িতে এবং একমাত্র মেয়ে (প্রথম পক্ষের) সায়মা (৮) তার দাদার ঘরে ছিল। ঘরের দরজা খোলা ছিল। সকালে ধর্নার মধ্যে রাসেল মিয়ার ঝুলন্ত লাশ দেখে প্রতিবেশিরা থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গফরগাঁও থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। রাসেল মিয়ার পিতা আব্দুল মালেক জানায়, কর্ম না থাকাসহ পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে তার ছেলে রাসেল মিয়ার হতাশা ছিল। হতাশা থেকেই রাসেল আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
গফরগাঁও থানার ওসি ফারুক আহম্মেদ জানায়, মৌসুমি আত্মহত্যার ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী ইমরান আহম্মেদকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইমরানকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। রাসেল আত্মহত্যা ঘটনায় ইউডি মামলা দায়েরের প্রক্রয়িা চলছে।