স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ নগরীর নিরালা রেষ্ট হাউজে তরুনী হত্যা হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে ময়মনসিংহ পুলিশ। এ ঘটনায় রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।গ্রেফতারকৃত আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে স্বিকারোক্তি প্রদান করেছে। পুলিশ সুপার মাছুম আহামেদ ভুঞা মঙ্গলবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার বলেন, ময়মনসিংহ নগরীর ছোট বাজার এলাকার নিরালা রেষ্ট হাউজ নামক একটি আবাসিক হোটেলে গত ইং ১৮ মার্চ অজ্ঞাতনামা এক তরুনীর লাশ উদ্ধার করে কোতোয়লী পুলিশ।
এ ঘটনায় পুলিশ জানতে পায়, গত ১৪ মার্চ মধ্যরাতে নিরালা রেষ্ট হাউজে তরুন তরুনী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে চারদিনের জন্য রুম ভাড়া নেয়। ১৮ মার্চ দুপুরে রেষ্ট হাউজের রুম তালাবদ্ধ পেয়ে হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে অবহিত করে। হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশের সহায়তায় ঐ রুমের তালা অপসারন করে বাথরুম থেকে তরুনীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, হোটেলের সিসি ক্যামেরা পর্যালোচনায় দ্রুততম সময়ে তরুনীর সঙ্গীয় অভিযুক্তকে সনাক্ত করে পুলিশ। কোতোয়ালী পুলিশ ১৯ মার্চ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম রাকিবকে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি গজারিয়ার চরচাষি গ্রামে। গ্রেফতাকৃত রাকিবের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে রাকিব জানায়, গত ১৪ মার্চ সন্ধ্যায় মিরপুর শেওড়াাপাড়া এলাকা থেকে ঐ তরুনীকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য ৫হাজার টাকায় ভাড়া করে ময়মনসিংহে নিয়ে আসে। যথারীতি নিরালা রেষ্ট হাউজে রাত্রীযাপন করে তরুনীকে বিদায়ের সময় টাকা কম দেওয়াতে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ঐ তরুনী উক্ত ছেলেকে চর-থাপ্পড় দেয়। ছেলেটি বিকাশে ক্যাশ আউট কথা জন্য বাইরে গিয়ে নগরীর স্বদেশী বাজার এলাকার একটি দোকান থেকে ১ শত টাকা মূল্যে ১টি চাকু কিনে আবারো হোটেলে যায় এবং তরুনীকে বাথরুমে নিয়ে চাকু দিয়ে গলায়, দুই হাতের কব্জিতে রক্তাক্ত জখম করে হত্যা করে রুমে তালাবদ্ধ করে পালিয়ে যায়। রাকিবকে আদালতে পাঠানো হলে সে তরুনীকে গলা কেটে হত্যা করেছে মর্মে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। সে আরো জানায় লেখাপড়ার পাশাপাশি সমাজ সেবা কার্যালয়ে আউট সোর্সিং এর কাজ করতো। নিহত তরুণীর পরিচয় এখনো সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ তার পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করছে।