শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ভারতে তৈরি ৬ এয়ারগানসহ চোরাচালান চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় আরও দুইজন পালিয়ে যায়।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নালিতাবাড়ীর সমশ্চুড়া গ্রামের সীমান্ত সড়ক থেকে তাকে আটক করা হয়।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান রাসেল সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
আটক ওই সদস্যের নাম মাসুম বিল্লাহ বুলবুল (৩০)। বুলবুল ঝিনাইগাতী উপজেলার গিলাগাছা গ্রামের ওয়াহাব মিয়ার ছেলে।
আর পলাতক মোটরসাইকেল চালকের নাম সাইদুল ইসলাম (৩২)। তিনি ঝিনাইগাতীর কালীবাড়ী বানিয়াপাড়ার আবু তাহেরুল ইসলামের ছেলে। এবং পলাতক অটোরিকশা চালকের নাম মো. মনির (২৫)। তিনি একই উপজেলার গিলাগাছার মৃত শামসুল হকের ছেলে।
পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান রাসেল জানান, পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে একটি সংঘবদ্ধ অবৈধ অস্ত্র চোরাকারবারি দল ভারতীয় তৈরি অস্ত্র চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনার অপতৎপরতা চালাচ্ছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তবর্তী বারোমারী থেকে সমশ্চূড়াগামী লালটেঙ্গুর পাহাড়ের সামনে সড়কে অবস্থান নেয় নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ। পরে সীমান্ত দিক হতে সন্দেহবাজন একটি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশা আসলে, তাদের গতিরোধ করার চেষ্টা করা হয়। তখন মোটরসাইকেলের চালক পুলিশের ওপর দ্রুত গতিতে মোটরসাইকেল তুলে দেয়, এতে ওই পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে মোটরসাইকেলটি রেখে অন্ধকারে পাহাড়ের ভিতর পালিয়ে যায় চালক। এসময় অটোরিকশা থেকে ৬টি এয়ারগানসহ বুলবুলকে আটক করে। আর অটোরিকশার চালক গহীন পাহাড়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বুলবুল আন্তর্জাতিক অস্ত্র চোরাচালান চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। বুলবুল এবং তার সহযোগীদের নামে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।