গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা : ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে নদীতে ডুবতে যাওয়া তিন বছর বয়সী শিশু পুত্রের জীবন বাঁচিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে নিখোঁজ রিমি আঞ্জুম(৩৫) নামে গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। ১৭ ঘন্টা পর আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ সেতুর নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
শনিবার(২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল এগারোটার দিকে সেতুর নিচে পিলারের কাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।
নিহত রিমি আঞ্জুমের বাড়ি পার্শ্ববর্তি শ্রীপুর উপজেলার ঘুসিরহাট গ্রামে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকালে গফরগাঁওয়ের চরআলগী গ্রামে কাশবনে বেড়াতে আসে রিনি আঞ্জুমের পরিবারের লোকজন। সন্ধ্যার আগে আগে কাশবন খেকে নৌকা করে গফরগাঁও পৌর শহরে ফেরার পথে নৌকা থেকে রিনি আঞ্জুমের তিন বছর বয়সী শিশু পুত্র সাদ নৌকা থেকে পড়ে যায়। তার ছেলেকে বাঁচাতে রিনি আঞ্জুম সাথে সাথে নৌকা থেকে নদীতে ঝাঁপ দেয়। সে তার শিশু পুত্রকে বাঁচাতে পারলেও এক সময় সে গভীর পানিতে তলিয়ে যায়।
ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে নিখোঁজ গৃহবধু রিমি আঞ্জুমের লাশ উদ্ধারের জন্য ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের একটি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। ডুবুরি দলের উদ্ধার অভিযানের একপর্যায়ে রিমি আঞ্জুমের লাশ বরশিতে আটকা অবস্থায় আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ সেতুর পিলারের কাছে ভেসে উঠে। গতকাল শুক্রবার ঘটনার পর স্থানীয় ও গফরগাঁও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ২ ঘন্টা উদ্ধার অভিযান করে আলোর সল্পতা ও অক্সিজেনের অভাবে অভিযান স্থগিত করে। শনিবার সকালে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্যের একটি দল দীর্ঘ ৪ ঘন্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে লাশ উদ্ধার করে গফরগাঁও থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গফরগাঁও থানার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক আহমেদ পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে।