ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
প্রেম কখনও বেঁচে থেকে বড় হওয়ার প্রেরনা যুগায়, আবার সেই প্রেম মৃত্যুর কোলে ঢেলে দেয়। তারই এক দৃষ্টান্ত দেখা গেল ত্রিশাল পৌরশহরের নামাপাড়া বটতলার দুখুমিয়া বিদ্যানিকেতনের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে। প্রেমে বেকআপের ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুরে তরিফ (১৬) নামে ওই শিক্ষার্থী সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি বেঁধে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
ফুলবাড়িয়া উপজেলার ধুরধুরিয়া গ্রামের ইটভাটা শ্রমিক মিলন মিয়া। একমাত্র ছেলে তরিফকে শিক্ষিত করতে অজঁপাড়া গাঁ ধুরধুরিয়া গ্রাম থেকে এনে ত্রিশাল পৌরশহরের নামাপাড়া বটতলার দুখুমিয়া বিদ্যানিকেতনে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি করেছিলেন বাবা। দশম শ্রেণিতে উত্তির্ণ হওয়ার আগে বাড়ি থেকেই ক্লাস করতো তরিফ। দশম শ্রেণির বছরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ থাকায় ক্লাস, কোচিং ও প্রইভেটের জন্য বাবা তার নিজ দায়িত্বে তরিফকে ত্রিশাল পৌরশহরের চরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসার ব্যবস্থা করেন। বাবার স্বপ্নপূরণে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে তরিফের জীবনে যেন আসে প্রেম। হটাৎ মেয়েটি তরিফের সঙ্গে বেকআপ করলে, মানসিক যন্ত্রনায় ভুগতে থাকে সে। এতে হয়তো আত্মহত্যার প্রবনতা চলে আসে তার মাঝে।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টা/ ১ টার দিকে তাজুল ইসলামের ভাড়া বাসার সিলিং ফ্যানের সঙ্গে রশি বেঁধে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তরিফ নামে ওই শিক্ষার্থী। স্থানীয়রা টের পেয়ে খবর দিলে ওই বাসায় ছুটে আসেন মা-বাবা ও স্বজনরা। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
চাচা শরিফ মিয়া জানান, আমাদের ৫ ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র ছেলে তরিফ। শুধু তার বাবা নয়, আমাদের সবার আদরের ছিল সে। সবার আশা ছিল লেখাপড়া করে উচ্চ শিক্ষিত ও অনেক বড় হবে সে, কিন্তু প্রেম তার জীবনটা শেষ করে দিল।
ত্রিশাল থানার ওসি মাইন উদ্দিন জানান, লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে গত তিনদিনে তিনটি আত্মহত্যার ঘটনায় ধারনা করা হচ্ছে, আত্মহত্যার প্রবনতা বাড়ছে।