স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘শিশুরা থাকুক হাসিতে, শিশুরা থাকুক খুশিতে’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর উদ্যোগে ময়মনসিংহের ২য় জাতীয় শিশু চিত্রকলা প্রদর্শনী-২০২৩ আয়োজন করা হয়েছে। দেশব্যাপী শিশুদের আঁকা ছবির মধ্য থেকে বাছাইকৃত নির্বাচিত ১০০টি ছবি নিয়ে ময়মনসিংহে এ আয়োজন করা হয়। এ ১০০টি নির্বাচিত ছবির মধ্যে স্থান পেয়েছে জামালপুর জেলা শিশু একাডেমির দশম শ্রেণির ছাত্রী শাহরিয়ার আক্তার জুঁই এবং নেত্রকোনা জেলা শিশু একাডেমীর দুর্জয় সাহা।
মঙ্গলবার (১৩ই ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ময়মনসিংহ আয়োজিত ২য় জাতীয় শিশু চিত্রকলা প্রদর্শনী ২০২৩ ময়মনসিংহের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালার মিলনায়তনে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে চিত্রকলা প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সৌমিত্র শেখর দে।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আরিফুল হক মৃদুল এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমি থেকে সম্মাননা প্রাপ্ত কবি ও নাট্যকার ফরিদ আহমেদ দুলাল। আরো উপস্থিত ছিলেন আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব লায়লা আঞ্জুমান বানু, ময়মনসিংহ জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মেহেদী জামান, ময়মনসিংহ জেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক অমিত রায়।
প্রধান অতিথি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, একটা সময় ছিল সন্তানদের শুধু ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার বানাতে চাওয়া হতো। কিন্তু এখন এ ভ্রান্ত ধারণা থেকে অনেকে বের হয়ে এসেছেন। সন্তান কি চায় সেটা আগে বুঝতে হবে, জানতে হবে। সন্তান কি করতে ভালোবাসে, পছন্দ করে সেই বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা দিতে পারলে এই শিশুরাই আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবে। বর্তমান পৃথিবীতে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে; বাংলাদেশেও এর ব্যতিক্রম নয়। এখন অনেক নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। তাই গদবাধা নিয়মে পড়ে থাকলে চলবে না। প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করেছে বলেই শিশুরা জাতীয় পর্যায়ের মর্যাদা আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। তারই সাথে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও সমাদৃত হবে।
তিনি আরো বলেন, যে শিশু ছোটবেলায় যে বিষয়ে দক্ষ তাকে সে বিষয়ে তৈরি হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। অন্যের সন্তানের সাথে তুলনা না করে নিজের মতো করে শিশুকে তৈরি হতে দিতে হবে। সন্তানকে নিজের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। এর জন্য পারিবারিক সুস্থ পরিবেশ তৈরি করুন। পরিবারে একটি পারিবারিক গ্রন্থাগার তৈরি করুন। সবাইকে নিয়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। পিতামাতা নিজের সন্তান এবং সন্তানের সন্তান নিয়ে একদিন গর্ববোধ করবেন। সন্তানকে মানসিক চাপ না দিয়ে বরং ভালোবাসা দিয়ে মানুষ করতে শিখুন। তাহলেই তারা শাশ্বত মানুষ হয়ে গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মন্ডলী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। উদ্বোধন ও আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।