সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহারে পরিবার, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকাঃ পরিপ্রেক্ষিত ময়মনসিংহে গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৮:১৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৫, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) এর পরিচালনায় ও বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের আর্থিক সহায়তায় ২৫ এপ্রিল সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুষ্ঠু ব্যবহারে পরিবার, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ভূমিকাঃ পরিপ্রেক্ষিত ময়মনসিংহ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনায় মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ময়মনসিংহ, মাহফুজুল আলম মাসুম এবং সম্পূরক বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অমিত রায়। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাটির যৌথ আয়োজক এবং ময়মনসিংহ জেলায় উন্নয়ন কর্মকন্ড পরিচালনায় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা এর নির্বাহী পরিচালক জনাব খন্দকার ফারুক আহমেদ।
মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ সদস্য মীর সালমা, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার, ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা উম্মে হালিমা, ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাবল হোসেন, ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন, কালের কণ্ঠের সাংবাদিক নিয়ামুল কবির সজল, সমাজসেবক শিক্ষক আব্দুল হক, সংস্কৃতি কমী মোঃ আবুল মুনছুর, নারী উদোক্তা আইনুন্নাহার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যায়ের শিক্ষার্থী ফারিয়া ফেরদৌস, তিতুমির কলেজের শিক্ষার্থী তানজিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠান শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাসমিটের প্রোগ্রাম অফিসার ইয়াসিন আহমেদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার আজকাল সমাজের প্রায় সকল স্তরে পৌঁছেছে। আধুনিক প্রযুক্তির অবাধ উন্নয়নে এই মাধ্যম আমাদের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। মোবাইল ফোন, ইন্টারনেট, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি আধুনিকতার সাথে আমাদের সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে অঙ্গাঙ্গীভাবে যুক্ত। ময়মনসিংহ একটি মফস্বল এলাকা হলেও এখানকার বাসিন্দারাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারে অনেকটা এগিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যথাযথ ব্যবহারের ফলে যেমন উন্নততর শিক্ষা ও মানবিক মূল্যবোধের চর্চা ও সুরক্ষা সম্ভব, তেমনি এর যথেচ্ছ ব্যবহার বা অপব্যবহারের ফলে কুফলও কম নয়। যেহেতু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বেশির ভাগ ব্যবহারকারী তরুণ শিক্ষার্থী সমাজ (যারা আমাদের আগামী দিনের উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশের মূল চালিকাশক্তি) তাদেরকে এ-ব্যাপারে সচেতন করা আমাদের সকলের পবিত্র দায়িত্ব। এ-ব্যাপারে আমাদের পরিবার, অভিভাবক ও শিক্ষকদের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে।
এ-ব্যাপারে সরকারের পাশাপাশি সাকমিডের মত কয়েকটি দায়িত্বশীল সংস্থাও সমাজের নানাস্তরে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জনংশগ্রহণ মূলক নানাবিধ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। কয়েকটি দাতা সংস্থাও এ-ব্যপারে তাদের সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছে। সাকমিড সম্প্রতি দেশের ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলার মোট ৪০০ জনের ওপর জরিপ, ৩০ জনের নিবিড় সাক্ষাৎকার ও ৬টি দলগত আলোচনার মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে। ঢাকা, ময়মনসিংহ ও ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া জেলায় এবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিথ্য তথ্য, অপতথ্য এবং কিভাবে গুজব ছড়ায়, কারা গুজব ছড়ায়, কি ধরণের গুজব ছড়ায় এবং এসব থেকে পরিত্রানের বিষয়ে সাকমিড কাজ করবে।
সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড) বাংলাদেশের গণমাধ্যমের উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি বেসরকারি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ইতোমধ্যে গণমাধ্যম সাক্ষরতা বৃদ্ধি, নারী উন্নয়ন ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশিক্ষণ প্রদানসহ নানান উন্নয়নমূলক কর্মসূচি সম্পাদন করেছে।