স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের তারাকান্দার বেলতলীতে প্রোটিন সোর্স নামীয় একটি মুরগীর খামারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার ভোর রাতে এই অগুনের ঘটনা ঘটে। আগুনে প্রায় ১০ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে খামার মালিক ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডক্টর সামীউল আলম লিটন দাবি করেন।
ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কের পাশে তারাকান্দার বেলতলীতে অত্যাধুনিক কমার্শিয়াল লিয়ার তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত মুরগি খামার গাডেক্স ইন্ডিয়ান সেডটি রবিবার লাগে আগুন লাগে। ভোর রাতে খবর পেয়ে খামার মালিক সহ অন্যান্য গিয়ে দেখেন আগুনে সব শেষ। প্রতিষ্ঠান মালিক কৃষিবিদ ডঃ সামিউল আলম লিটন জানান, ফার্মের জমি নিয়ে ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে নাশকতার উদ্দেশ্যে রাতের আধারে এই ন্যাক্কার জনক নাশকতা ঘটতে পারে। ব্যাংক অর্থায়নে ঘরে তোলা খামারের এহেন ক্ষতিতে কান্নারত প্রতিষ্ঠান মালিক আরো বলেন, খামার ধ্বংস করার চেয়ে আমার প্রাণ নাশ হলেও ভালো হতো। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ময়মনসিংহ থেকে অগ্নিনির্বাপক দল ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ততক্ষণে সেডটি সম্পূর্ণ বশীভূত হয়ে যায়। সকালে শ্যামগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশ এর এস আই মোঃ মনজুরুল ইলাহী ও পার্শ্ববর্তী গৌরীপুর থানার ওসি খান হালিম সিদ্দিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এছাড়া ইসলামী ব্যাংক ময়মনসিংহ প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক মোঃ গোলাম মোস্তফার নেতৃত্বে ৩ সদস্যের একটি দল আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত খামার পরিদর্শন করেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আতিকুর রহমান ২টি ইউনিট এর ১৪ জন সদস্য নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ করেন। তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত অনেক পূর্বেই হয়েছিল। বিকেলে তারাকান্দা উপজেলা নিবাহী অফিসার মিজাবেহ রহমত, তারাকান্দা থানার ওসি আবুল খায়ের সোহেল, উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ফজলুল হক, তারাকান্দা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রুনি ঠাকুর, আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ খামার পরিদর্শন করেন।
এই বিশাল খামারের শতাধিক বৈদ্যুতিক চালিত মোটর ফিডার, কেস হেডফ্রেম লিভ নিপল ড্রিংগার চিরুনি লিভ, ইকবেল, বন্ড ইয়ার হেডফ্রেন, ইগ হেডফ্রেম ও সিসি ক্যামেরাসহ শতাধিক জাতের মুরগি পালন হতো। আগুনে মুরগীসহ যন্ত্রপাতি সহ স্থাপনাটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।