শ্রীবরদী (শেরপুর) প্রতিনিধি :
শেরপুরের শ্রীবরদীতে ছেলের লাথিতে পিতার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছে। ঘাতক ছেলে পলাতক রয়েছে। ২২ মার্চ শুক্রবার বিকেলে উপজেলার গোসাইপুর ইউনিয়নের শংকরঘোষ বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, নিহত সুরুজ আলীর (৭০) তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে বিল্লাল হোসেনের সাথে বাবা সুরুজ আলীর সব সময় ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকতো। ছেলে বিল্লাল হোসেনের অত্যাচারে নিহত সুরুজ আলী ও ছোট ছেলে আব্দুল কুদ্দুস দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলো। শুক্রবার সকালে আব্দুল কুদ্দুস বাড়িতে আসলে বিল্লালের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিকালে বাবা সুরুজ আলী শংকরঘোষ বাজারে আসলে অতর্কিতভাবে বিল্লাল হোসেন তার বাবার ওপর আক্রমণ করে লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। এ সময় বিল্লালের লাথির আঘাতে বাবা সুরুজ আলী মাটিতে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পরে কৌশলে বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
নিহত সুরুজ আলীর মেয়ে ইসমত আরা বলেন, “আমার বাবাকে বড় ভাই দেখবার পারতো না। বাবারে দেখলেই মারবার আসতো, এজন্য মাইনষে বলতো বিল্লাল পাগলা। আইজকে বিল্লাল আমার বাবারে মাইরাই ফেললো।”
নিহতের ছোট ছেলে কুদ্দুস আলী বলেন, আমার বড় ভাইয়ের সাথে মাঝে মাঝেই জমি-জমা নিয়ে ঝগড়া লাগতো। তার অত্যাচারে আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে একমাস থেকে অন্যের বাড়িতে বসবাস করতেছি। আজ দুপুরে আমার সাথে ভাইয়ের কথা কাটাকাটি হয়। পরে আমার বাবা শংকরঘোষ বাজারে আসলে বাবাকে লাথি, মারপিট ও পিটায়ে মেরে ফেলেছে।
শ্রীবরদী থানার এসআই নাজমুল আমিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল তৈরি করেছি। সুরতহালে দু’হাত ও পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে। তবে, ময়নাতদন্ত সাপেক্ষে বিস্তারিত জানা যাবে।
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, লাশ উদ্ধার করা করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।