রফিক বিশ্বাস, তারাকান্দা (ময়মনসিংহ)থেকে :
এক সময় ষোল বলদের রাস্তা নামে পরিচিত সড়কটি এখন আবাদী জমিতে পরিনিত হয়েছে। ফলে পশ্চিম তালদীঘি,দাদরা ও গোয়াতলা গ্রামের আংশিক বাসিন্দারা এ পথে চলাচল করা ছেড়ে দিয়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে, স্কুল,কলেজ ও মাদরাসার ছাত্রছাত্রীদের।
জানা গেছে, ময়মনসিংহ – হালুয়াঘাট সড়কের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের পশ্চিম তালদীঘি ফকির বাড়ি সংলগ্ন হইতে দাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন পাকা সড়ক পর্যন্ত সংযোগ সড়কের পশ্চিম তালদীঘি ফকির বাড়ি মসজিদ হইতে সিএন্ডবি পাকা রাস্তা পর্যন্ত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটি যেন, আবাদী ভূমিতে পরিনিত হয়েছে। দীর্ঘ ১কিঃমিঃ এ কাচাঁ সড়কের দু’পাশে অপরিকল্পিত পুকুর খনন করে মৎস চাষ করায় সড়কের পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। সড়কটি যেন ড্রেনের রূপ নিয়েছে।
এ ছাড়া মাটির এ কাচাঁ সড়কে মৎস চাষীরা মাছ পরিবহনে মাঝারি ও বড় ট্রাক আনা- নেওয়া করা কাদাঁ পানিতে সড়কটি আবাদি ভূমিতে রূপ ধারণ করেছে।
স্থানীয়রা জানান, ৬/৭ বছর পৃর্বে তৎকালীন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন তালুকদার পর পর দু’টি এডিবির প্রকল্পে পাকা সড়ক হতে মবী হোসেনের বাড়ি পর্যন্ত ৪০০মিটার ইটের সলিং করেন। উক্ত সড়কে ভারী যান (বড় বড়) ট্রাক যাতায়ত করায় ইটের সলিংও কাদাঁ পানির নীচে পড়ে আছে।
পশ্চিম তালদীঘি গ্রামের মোঃ আমছর আলী ও দাদরা গ্রামের নছিম উদ্দিন জানান, ৬০/৭০ বছর আগে এ সড়কে যোল বলদ এক সাথে চলাচল করত। এত বড় সড়কটি দিন দিন ছোট হয়ে আসছে। এক সময় শত শত ছাত্রছাত্রী তালদীঘি স্কুলে এ সড়কে যাতায়ত করত। এখন যাতায়ত করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে সড়কে কাবিখা প্রকল্পে মাটি দিলেও সফল পাচ্ছে নাা স্থানীয়রা ।