গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
একসঙ্গে মারা গেলো ৪টি গরু! এ ঘটনা ঘরে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার রামগোপালপুর ইউনিয়নের বীরপশ্চিমপাড়া এলাকায়। শূন্য গোয়ালঘরে প্রতিদিন দরজা খুলে কাঁদছেন কৃষাণী আয়েশা খাতুন। তিনি বীরপশ্চিমপাড়া গ্রামের নুর ইসলামের স্ত্রী।
নুর ইসলাম জানান, তার সঙ্গে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। প্রতিবেশী আব্দুল মান্নানের গোয়ালঘর থেকে গত ২০মার্চ ৫টি গরু চুরি হয়। সেই ঘটনায় আমার পুত্র সুজন মিয়া ও আমার মেয়ের জামাতা মো. তাহের উদ্দিনসহ ৫/৬জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ মামলায় ২১ আগস্ট রোববার হাজিরা দিতে গেলে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। ওইদিনেই অসুস্থ হয়ে একটি বাছুর মারা যায়। গোয়ালঘরে থাকা, একটি ষাঁড় বাছুর, ১টি গাভী ও একটি গর্ভবর্তী গাভী অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় তাৎক্ষনিকভাবে স্থানীয় প্রাণীসম্পদ বিভাগে গেলে পশু চিকিৎসক মো. মফিজ উদ্দিন সরেজমিনে আসেন। অসুস্থ্য গরুগুলো খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে অসুস্থ্য হওয়ায় দ্রুত ব্যবস্থাপত্র দেন। সেই ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী ওষুধ দেয়ার পরেও গরুগুলো সুস্থ্য হয়নি। সোমবার সকালে গোয়ালঘরে গিয়ে দেখেন আরও ৩টি গরু মারা গেছে। এর মধ্যে দু’টি গর্ভবর্তী গাভী রয়েছে যার মূল্য ২লাখ টাকা হবে। এছাড়াও দুটি বাছুরের মূল্যও আনুমানিক ১লাখ ২০হাজার টাকা হবে।
তিনি আরো জানান, শনিবার মধ্যরাতে আমার স্ত্রী আয়েশা খাতুন নিজে খড় ও অন্যান্য ঘাস দিয়ে আসে। তখনও গরুগুলো ভালো ছিলো। সকালে ওঠে গিয়ে দেখেন গরুগুলো অসুস্থ্য। মুখ দিয়ে লালা পড়ছে। গরুর শরীরেও অনেক তাপ। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে গৌরীপুর থানার সহকারী উপ-পুরিশ পরিদর্শন (এএসআই) মো. ইনছান মিয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি জানান, গরুর মৃত্যুর খবর পেয়ে সরেজমিন গিয়ে ছিলাম। মৃত গরুগুলো দেখে এসেছি। অপরদিকে আয়েশা আক্তার জানান, তিনি একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে গিয়েছিলেন। কোনো মামলা নেননি। পশুচিকিৎসা মফিজ উদ্দিন এ প্রতিনিধিকে জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে গরুগুলোর মৃত্যু হয়েছে। আয়েশা খাতুন দাবী করেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরেই গরুগুলো মেরে ফেলা হয়েছে। খাদ্যে বিষ মিশিয়ে দেয়ার কারণেই গরু মারা গেছে। মুখের লাল ও শরীরের তাপ এবং ডাক্তারের বক্তব্যে এ বিষয়টি আমার নিকট প্রতিয়মান হয়।