শাহ্ আলম ভূঁইয়া, নিজস্ব প্রতিবেদক, নান্দাইল থেকে:
ময়মনসিংহের নান্দাইলে শিয়ালের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। বেড়েছে শিয়ালের আক্রমণ। গত দু’দিনে উপজেলার বীরবেতাগৈর ও চরবেতাগৈর ইউনিয়নে শিয়ালের কামড়ে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে শিয়াল আতঙ্কে রয়েছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
এদিকে, এ ঘটনায় ২ ইউনিয়নের বেতাগৈর ও চরকামট খালী গ্রামে গত ২ দিনে ২টি শিয়াল হত্যা করেছে গ্রামবাসী।
সরেজমিনে মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে বীরবেতাগৈর ইউনিয়নের বেতাগৈর ও আলীহরগাতি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামবাসীর মধ্যে শিয়াল আতঙ্ক বিরাজ করছে। শিয়ালের আক্রমণ থেকে বাঁচতে গ্রামবাসী তীব্র কোয়াশার মাঝে লাঠি হাতে চলাচল করছেন।
শিয়ালের কামড়ে আহতরা হলেন,স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুল ইসলাম তপন, কৃষক আব্দুল মালেক, আবুল বাশার, সাইফুল ইসলাম, শিক্ষার্থী রাব্বুল মিয়া এবং গৃহিণী মজিদা খাতুন।আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকালে মাঠে কাজ করা অবস্থায় শিয়ালের আক্রমণের শিকার হয়েছেন বেতাগৈর গ্রামের তৌফিকুল ইসলাম তপন ও সাইফুল ইসলাম । গত সোমবার সকালে কামড়িয়েছে আলীহরগাতি গ্রামের আব্দুল মালেক,আবুল বাশার, মজিদা খাতুন এবং চরকামট খালী গ্রামের মো. রাব্বুল মিয়াকে।
তৌফিকুল ইসলাম তপন বলেন,আমি সকালে মাঠে কাজ করছিলাম।এসময় আমার পাশেই মাঠে কাজ করছিল সাইফুল ইসলাম। হঠাৎ পিছন থেকে একটি শিয়াল এসে সাইফুল ইসলামকে কামড়াতে থাকে।তাকে উদ্বার করতে গেলে আমাকে উপুর্যপরি কামড়াতে থাকে। এসময় শিয়ালকে ধরে ফেলি। পরে স্থানীয় মানুষ এসে শিয়ালটিকে মারতে সক্ষম হন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার ময়মনসিংহ মেডিকেলে তিনজনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। বাকি দুইজনকে আজ বুধবার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.আব্দুল কাদির বলেন,আমার এবং পার্শবর্তী ওয়ার্ডে গত দুইদিনে ৫ জনকে শিয়ালে কামড়িয়েছে।আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ অমিত দত্ত বলেন, শিয়াল সাধারণত মানুষকে আক্রমণ করে। যদি পর্যাপ্ত খাবার সে না পায় বা আক্রমণের শিকার হলে এবং র্যাবিস ভাইরাসে আক্রান্ত হলে। পাগলা শিয়াল যদি কাউকে কামডায় তাহলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে জলাতঙ্ক টিকা নিতে হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো. মাহমুদুর রশিদ বলেন, শিয়ালে কামড়ানোর পর আমরা তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থাকি। বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে শিয়ালে কামড়ানোর কোনো ভ্যাকসিন নেই।