শেরপুর থেকে আলমগীর আল আমিন :
শেরপুরে বিনা তদবির ও ঘুষ ছাড়াই চাকরি পেয়ে খুশি ৩৪ বেকার যুবক-যুবতী । বর্তমান জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার গত সাতমাস আগে শেরপুরে যোগদানের পর স্বচ্ছতার ভিত্তিতে চাকরি প্রদান করা তার অন্যতম বড় সাফল্য।
জেলা প্রশাসক অফিস সূত্রে জানাযায়, জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার শেরপুরে যোগদানের পর গত ৭ মাসে জেলা প্রশাসনের অধীন ২০তম গ্রেডের ৩ টি নিয়োগে মোট ৩৪ জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। এদের সবাই নিজ নিজ যোগ্যতা ও মেধার কারণে চাকরি পেয়েছে। কোন প্রকার তদবির বা সুপারিশকে কোনরুপ গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এতদিন মানুষের মধ্যে ধারণা ছিল টাকা আর তদবির ছাড়া চাকরি হয়না। কিন্তু এ নিয়োগের ফলে মানুষের এ ধারণা পাল্টে গেছে।
ইতিমধ্যে চাকরি প্রাপ্তরা দুই দিনের ওরিয়েন্টেশন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। এতে জেলা প্রশাসক জনাব সাহেলা আক্তারসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা তাদের ব্রিফিং দেন।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়েও বিনা তদবিরে চাকরি পেয়ে খুশি এসব চাকরি প্রাপ্তরা।
এব্যাপারে শেরপুর শহরের সজবরখিলা হরিজন পল্লীর বাসন্তী রাণী সরকার বলেন, আমরা গরিব। টাকা পয়সা নাই। সংসারী চলেনা। টাকা দিয়ে চাকরি নেওয়ার ক্ষমতা আমাগো নাই। ডিসি স্যার আমাকে চাকরি দিয়েছেন। কোন টাকা পয়সা লাগে নাই। আমি খুব খুশি। আমি আশীর্বাদ করি স্যারের যেন ভালো হয়।
শ্রীবরদীর ঝগড়ারচরের অফিস সহায়ক পদে চাকরি পাওয়া উম্মে জান্নাত জানান, আমার চাকরি নিতে কোন টাকা পয়সা লাগে নাই। চাকরি পাওয়ার পর আমি বিশ্বাসই করতে পারি নাই এভাবে আমার চাকরি হবে। আমি ডিসি স্যারকে দোয়া করি, আল্লাহ যেন ওনাকে ভালো করেন।
এব্যাপারে জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তার বলেন, অনেক কষ্ট করে আমরা স্বচ্ছতার মধ্যে এ নিয়োগ সম্পন্ন করতে পেরেছি। অনেকের অনুরোধ এসেছে, আমি তা রক্ষা করতে পারি নাই। এ জন্য অনেকেই কষ্ট পেয়েছেন।
এদিকে জেলা প্রশাসক নব যোগদানকৃত কর্মচারীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং সবাইকে সততা, আন্তরিকতা, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি শেরপুর নবযোগদানকৃত কর্মচারীদের আচরণবিধি প্রতিপালন, সময়ানুবর্তিতা, দাপ্তরিক শৃঙ্খলা মেনে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জনগণকে সেবা প্রদানের নির্দেশনা প্রদান করেন।