স্টাফ রিপোর্টার : স্থানীয় পর্যায়ে কৃষি বিষয়ক বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত পর্যালোচনা ও এর জন্য কর্মকৌশল নির্ধারন শীর্যক কর্মশালা ১৯ অক্টোবর সোমবার ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ শিল্পচার্য জয়নুল আবেদীন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত।
কর্মশালা প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মো: মিজানুর রহমান।
তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা ময়মনসিংহের আয়োজনে কোষ্ট ট্রাষ্ট ঢাকার সহযোগিতায় কর্মশালায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠানের সভাপতিত্বে তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক খন্দকার ফারুক আহমেদ এর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সাইফুল ইসলাম, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. মো: আবু সাঈদ সরকার, যুব উন্নয়নের উপ-পরিচালক ফারজানা পারভীন, জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারন সম্পাদক নূরুল আমিন কালাম, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক কাজী আজাদ জাহান শামীম।
কর্মশালায় স্থানীয় পর্যায়ে কৃষি, মৎস্য খাত এবং প্রাণী সম্পদ সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যা চিিত করণ, এই সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য ভিত্তিক আলোচনা করে সুপারিশ মালা উপস্থাপন ও উক্ত খাতসমূহ ভাঙ্গার/সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন কার্যকর উপায় অনুসন্ধান এবং সুনির্দিষ্ট কর্মকৌশল এই তিন দলের উপস্থাপনা বিষয়ে আলোচনা করেন উপজেলা প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা ডা: মো: আহসান হাবিব, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, অন্যচিত্র উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রেবেকা সুলতানা, স্বপ্ননীল মহিলা উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক লুৎফা খাতুন, আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক নুর মাহমুদ স্বরন, ব্র্যাকের ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর আব্দুল্লাহ আল মামুন, শশী ফাউন্ডেশনের সিরাজুল ইসলাম কিরণ, সীড ফাউন্ডেশনের মো: সিরাজুল ইসলাম, গ্রামাউসের মো: হারুন অর রশিদ, ইমাম হাফেজ মাও আ: নুরে আলম, কৃষক মোঃ এমদাদুল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের জিও প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, বাংবাদিক, মসজিদের ইমাম, কৃষক, খামারীগন অংশগ্রহণ করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিখাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কৃষি জমি যাতে শিল্প কলকারখানার নামে বেহাত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ একটি জমিও যাতে অনাবাদি না থাকে। জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ভূমি দস্যুরা শিল্প কলকারখানার নামে কৃষি জমি দখল পায়তারা করছে, সেদিকে নজর রাখতে হবে। ফিসারীর নামে জমির শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না।