স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ সদরের চরাঞ্চলে দইয়ের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে ফুফাতো বোন কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের দায়ে বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাপিড এক্যাশন ব্যাটালিয়ান (র্যাব)-১৪ এর একটি টিম ধর্ষক জাকারিয়াকে আটক করেছে।
র্যাব-১৪ মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার জোনঈদ আফ্রাদ জানিয়েছেন, গত ১৯ অক্টোবর (সোমবার) রাতে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চর হাসাদিয়া গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে জাকারিয়া (২০) তার দাদী ও ফুফাতো দুই বোনকে দইয়ের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ খাইয়ে অচেতন করে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই র্যাবের একটি টিম জাকারিয়াকে আটক করতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। অবশেষে বৃহস্পতিবার ভোরে সদরের দাপুনিয়া আত্মীয়ের বাড়ি থেকে জাকিারিয়াকে আটক করেছে।
ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ তালুকদার জানিয়েছেন, সদর উপজেলার পরানগঞ্জ ইউনিয়নের চর হাসাদিয়া গ্রামে নির্যাতিতার মা মারা যাওয়ার পর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে ঢাকায় চলে গেলে দুই বোন নানীর কাছে থেকে লেখা-পড়া করতো। গত ১৯ অক্টোবর রাতে মামাতো জাকারিয়া নির্যাতিতা তার ছোট বোন ও নানীকে দেখতে গিয়ে দই খাওয়ার পরপরই একে একে সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এসময় অচেতন অবস্থায় জাকারিয়া কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে ঘুম থেকে না উঠায় বাড়ির লোকজন তাদের ডাকতে যায়। ঘরের দরজা খোলা দেখে ঘরের ভিতর প্রবেশ করে সকলকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে কোতোয়ালী মডেল থানার ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধ টিম ঘটনাস্থলে পৌছে নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এছাড়া ধর্ষণের আলামত সংগ্রহ করে। এ বিষয়ে এখনো কোন মামলা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।