স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার চাঞ্চল্যকর ছোট ভায়রা কর্তৃক বড় ভায়রাকে খুনের ঘটনায় মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান হাব্বি’কে দীর্ঘ ৯ বছর পলাতক থাকার পর ময়মনসিংহ শহর থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।
র্যাব ১৪ জানায়, বাবুল ও আসামী হাবিবুর সম্পর্কে ভায়রা ভাই। ঘটনার দিন ১৭ এপ্রিল ২০১২ সনে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানাধীন মহেশবাড়ী গ্রামে শ্বশুড় মোঃ আঃ বারেক এর বাড়ীতে টাকা-পয়সা লেনদেনকে কেন্দ্র করে দুজনের মাঝে তর্ক-বিতর্ক হয়। তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে, ছোট ভায়রা (পাওনাদার) আসামী হাবিবুর রহমান হাব্বি @ হাফিজুল ইসলাম পেপসির কাচের বোতল দিয়ে বড় ভায়রা (দেনাদার) আবুল কালাম বাবুল (৩৭) এর মাথার ডান পাশে আঘাত করলে বাবুল মাটিতে পড়ে যায় এবং উপর্যুপরি আসামী হাবিবুর লোহার ছেচনি দিয়ে বাবুলের মাথায় কয়েকটি আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে শ্বশুর বাড়ীর লোকজন বাবুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করে। এই ঘটনায় ২০ এপ্রিল/২০১২ইং তারিখে বাবা মোঃ আব্দুল মালেক পিতা- মৃত হাজী আঃ রশীদ ফরাজী, সাং- তেলিগ্রাম, থানা- ফুলবাড়ীয়া, জেলা- ময়মনসিংহ বাদী হয়ে আসামীর বিরুদ্ধে মুক্তাগাছা থানায় একটি মারামারির মামলা দায়ের করে। এই দিকে, চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ভিকটিম বাবুল ১৩মে/২০১২ইং তাং মৃত্যৃবরণ করে। এতে করে, মারামারির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপ নেয়। ইতোমধ্যে, পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে। জামিনে থাকা অবস্থায় আসামী পালিয়ে যায়। দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রমের পর, এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামী হাবিবুর রহমান হাব্বি @ হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাদীর আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত গত ১৮মে/২০২৩ইং তারিখ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায়, গত ১৮মে/২০২৩ খ্রি. তারিখ সন্ধ্যা পৌনে ৮টার দিকে র্যাব-১৪ ময়মনসিংহ এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী থানাধীন টাউন হল মোড় এলাকা হতে ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার চাঞ্চল্যকর আবুল কালাম বাবুল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী মোঃ হাবিবুর রহমান হাব্বি @ হাফিজুল ইসলাম’কে (৩৯), পিতা- আবুল হোসেন, সাং- কান্দাপাড়া হরিপুর দেউলী, থানা-মুক্তাগাছা, জেলা- ময়মনসিংহ’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বর্ণিত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এছাড়াও উপরোক্ত ঘটনার মতো যাতে আর কোন ঘটনা না ঘটে, সেই প্রেক্ষিতে র্যাবের টহল তৎপরতা ও গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।