ধোবাউড়া প্রতিনিধিঃ
ধোবাউড়ায় ভাতিজা বউকে শ্লীলতাহানির দায়ে চাচা শ্বশুর রফিকুল ইসলাম (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উপজেলার সদর ইউনিয়ন সাপমারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তার এমন একাধিক ঘটনার খবর পেয়ে সরেজমিনে অনুসন্ধান করা হয়। বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। রফিকুল ইসলাম পেশায় একজন চা, ফ্লেক্সিলোড ও মুদি দোকানদার। বিয়ে করেছে তিনটি। এক স্ত্রী ডিভোর্স দিয়ে, দুই স্ত্রী নিয়ে সংসার করছে সে। তা সত্ত্বেও দোকানে আসা মহিলাদের প্রথমে টার্গেট করে। পরে নানা প্রলোভন দেখিয়ে দেয়া হয় কুপ্রস্তাব।
জানা গেছে, কয়েক বছর আগে প্রতিবেশী ভাগিনা বউকে শ্লীলতাহানির দায়ে এলাকাবাসী জুতা পেটান দিয়ে সাময়িক ক্ষমা করে দেয়। ক্ষমাটাই যেন সমাজের জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। কিছুদিন পর পুনরুজ্জীবিত হয় আগের চরিত্র। দক্ষিণ সাপমারী গ্রামে তার দোকান। পাশের বাড়ির দরিদ্র খোকন মিয়া গত ৪ মাস পূর্বে বিয়ে করে নববধূকে বাড়িতে রেখে কাজের সন্ধানে চলে যায় ঢাকায়। ফাঁকা বাড়িতে বিভিন্ন সময় শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় বখাটে চাচা শ্বশুর রফিকুল ইসলাম। গোসল করতে গেলে উঁকিঝুঁকি, কোন কাজের জন্য ঘর থেকে বের হতেই নানা কুপ্রস্তাব দিয়ে বিভিন্নভাবে উত্তক্ত করার কথা জানান গৃহবধূ পপি আক্তার (২১)। তার এসব প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৫ তারিখ রাত দুইটায় কৌশলে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় রফিকুল।
এসময় গৃহবধূর চিৎকার চেঁচামেচিতে ছুটে আসে শ্বশুর-শাশুড়িসহ এলাকাবাসী। পরে ঘরের মধ্যে বাঁধা হয় তাকে। খবর পেয়ে স্থানীয় এক মাতব্বর ইব্রাহিম মিয়া গিয়ে জোরপূর্বক ছাড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানান ভুক্তভোগীর শ্বশুর দুলাল মিয়া। এ ঘটনায় গৃহবধূর পপি আক্তার বাদি হয়ে ধোবাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অন্য দিকে রফিকুলের এমন বর্বর অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে এলাকার মহিলারা একত্রিত হয়ে মানববন্ধনের চেষ্টা করলেও তার আগে অভিযুক্তকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ টিপুসুলতান। পরে তাকে বুধবার সকালে ময়মনসিংহ জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।