ত্রিশাল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
দেশমাতৃকাকে রা করতে মুক্তিকামী দামাল ছেলেরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিল যুদ্ধে। ৮ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাতে আক্রমন চালায় থানার ঘাঁটিতে। রাতভর প্রচেষ্টার পর ৯ ডিসেম্বর ভোর রাতের মধ্যেই পাকিস্থানি হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয়েছিল ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা।
১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে নির্দেশনা আসে পাকক্যাম্প আক্রমন করে ত্রিশাল থানা দখলের।
মুক্তিযোদ্ধারা সংঘবদ্ধ হয়ে রাতে আক্রমন করেন থানা ঘাঁটিতে। ১১নং সেক্টরের এফ জে সাব সেক্টর আফসার বাহিনীর কমান্ডার আইউব আলী, টুআইসি আব্দুল বারী মাষ্টার ও ভালুকার মেজর আফসার বাহিনীর নাজিম উদ্দিন কমান্ডারের নেতৃত্বে গভীর রাতে পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখযুদ্ধ হয়।
জৈমত আলী, গোলাম মোস্তফা, ছাইফুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ, মনিরুদ্দিন, ইয়াছিন আলী, চাঁন তারা, জামাল উদ্দিন, আব্দুল হাই ও সিরাজুল ইসলামসহ ২০/২৫ জন মুক্তিবাহিনীর কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয় হানাদার বাহিনী। রাতভর প্রাণপণ লড়াইয়ের পর ওই সম্মূখযুদ্ধে ৯ ডিসেম্বর ভোর রাতের মধ্যেই দখলে আসে ত্রিশাল থানা। ত্রিশাল ছেড়ে পালিয়ে যায় পাক-হানাদাররা।
৯ ডিসেম্বর আজকের এইদিনে সকাল ৯টার দিকে স্থানীয় নজরুল একাডেমী মাঠে তৎকালীন থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি জৈমত আলী মাষ্টারের উপস্থিতিতে আব্দুল বারী মাষ্টার স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে ত্রিশালকে হানাদার মুক্ত ঘোষনা করেন। ত্রিশাল মুক্ত দিবস উপলে আজ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করা হবে।