স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহ সিটির ১২শত কেন্দ্রে হাম-রুবেলার টিকাদান প্রদান করা হবে। এ সব টিকা কেন্দ্রে ৯ মাস থেকে ১০ বছরের কম বয়সী এক লাখ ১৪ হাজার ৭৬৩ জন শিশুকে টিকা প্রদান করা হবে।
১২ ডিসেম্বর থেকে ২৪ জানুয়ারী পর্যন্ত ৬ সপ্তাহব্যাপী এই টিকাদান কর্মসূচী চলবে। ময়মনসিংহ সিটির ৩৩টি ওয়ার্ডে একযুগে হাম-রুবেলার টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০ এর শুভ উদ্বোধনকালে শনিবার সকালে সিটি মেয়র ইকরামূল হক টিটু এ সব কথা বলেন।
মেয়র ইকরামূল হক টিটু আরো বলেন, হাম-রুবেলা করোনার চেয়ে ভয়াবহ। হাম-রুবেলার টিকা রয়েছে, আর করোনার টিকা এখন পর্যন্ত নেই। তাই প্রতিটি শিশু যাতে হাম- রুবেলার টিকা (ইনজেকশন) পায় তার জন্য ব্যাপকহারে প্রচার করতে সংবাদকর্মীদের আরো দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সিভিল সার্জন ডাঃ মশিউল আলম বলেন, মার্চ মাসেই হাম- রুবেলার টিকা প্রদানের সরকারী সকল প্রস্তুতির পরও শুধুমাত্র করোনার কারণে টিকা প্রদান সম্ভব হয়নি। সরকার ভয়াবহ করোনার টিকাদান সংগ্রহে সকল প্রস্তুতি নিয়েছেন।
তাই করোনার টিকা মজুত রাখতে দ্রুত হাম-রুবেলার টিকা প্রদান করে ফ্রিজ খালি করতে এই সময়ে টিকাদান করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য সহকারীদের ধর্মঘটের কারণে জেলা, উপজেলা পর্যায়ে হাম-রুবেলা টিকা এই মুহুর্তে প্রদান করা সম্ভব হচ্ছেনা।
দেশের ১১টি সিটি ও পৌর এলাকায় ৬ সপ্তাহব্যাপী টিকাদান কর্মসূচী চলবে। করোনাকালে একজন শিশুও যাতে এই টিকা গ্রহণে বাদ না পড়ে সেই জন্য সরকার ৬ সপ্তাহ ধরে কর্মসূচী চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, এর আগে শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস টিকাদানে ট্যাবলেট খাওয়ানো হতো। আর এখন হাম-রুবেলার টিকা ইনজেকশন আকারে দেয়া হচ্ছে। এতে কোন কোন শিশু সামান্য ব্যথা কিংবা সামান্য জ্বর হতে পারে। এত ভয়ের কিছু নেই।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডাঃ পংকজ কুমার ভৌমিক বলেন, ২০২৩ সালের মধ্যে হাম রুবেলা নির্মুল করতে এই টিকাদান কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে শুরু করে ২০১০ ও ২০১৪ সালে এর আগে হাম-রুবেলার টিকা প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, অসুস্থ্য কোন শিশুকে টিকা না দিতে তিনি পরামর্শ দেন। এছাড়া মেডিকেল কলেজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতেও এই টিকা প্রদান ক্যাম্প রয়েছে। কোন শিশুর এজমা জাতীয় সমস্যা থাকলে তারা যেন হাসপাতালে গিয়ে টিকা গ্রহণ করেন। যাতে টিকা পরবর্তী কোন সমস্যা দেখা দিলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিতে পারেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এইচ কে দেবনাথ, স্বাস্থ্য ও সেনিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদারসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য সহকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।