বাকৃবিতে কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু:
বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শের বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ১৬ জানুয়ারি ২০২১ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সেমিনার কে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবু হাদীনূর আলী খানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফল হাসান।
এতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জসিম উদ্দিন খান, ,ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. নূরুল হক, ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. মকবুল হোসেন, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. একেএম জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গেটওয়ে কনসাল্টিং বাংলাদেশের আহবায়ক ড. খন্দকার হেলাল উদ্দিন।
এছাড়াও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জয়নাল আবেদিন সহ প্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ধশতাধিক শিক্ষক, কর্মকতা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপনের সময় ড. খন্দকার হেলাল উদ্দিন বলেন, যে কোনও পেশাদারের জন্য পরামর্শ মডিউলে লেখার সুযোগ রয়েছে। যারা পরামর্শের মডিউল লিখতে আগ্রহী, পরামর্শ পরিষেবা এবং দেশে এবং বিদেশে পরামর্শ কাজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিন।
এই কর্মসূচীটি মূলত কৃষি-বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা, সরকারী, বেসরকারী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার অফিস এক্সিকিউটিভ এবং বেসরকারী উদ্যোক্তা যারা কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য খাতে কাজ করছেন তাদের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। যেখানে কৃষি বিশেষজ্ঞদের যথেষ্ঠ কাজের সুযোগ আছে।
বিদেশী বিশেষজ্ঞরা প্রতি বছর এদেশ থেকে প্রচুর টাকা নিয়ে যাচ্ছে যেখানে আমাদের কৃষি বিশেষজ্ঞরাই তাদের থেকে দ বলে তিনি জানান। এই সেক্টরে সুযোগ প্রতিষ্ঠা করার জন্যই গেটওয়ে কাজ শুরু করেছে। আর এই গেটওয়ে কৃষিবিশ্ববিদ্যালয়ের দ বিশেষজ্ঞদের নতুন সুযোগ তৈরি করবে বলে জানান তিনি।
বাকৃবি উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, শিার পাশাপাশি গবেষণায় অনন্য ভূমিকা রেখে যাচ্ছে বাকবির শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা। যার ফলে কৃষিতে এসেছে অবারিত সাফল্য। দেশ এখন খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জে সফল এখন দরকার পুষ্টিনিরাপত্তায় কাজ করা। সেটি করার জন্য যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে হবে।
কৃষি সেক্টরের সম্ভাবনাময় খাত খোঁজে বের করে টেকনোলজির উন্নয়ন ঘটিয়ে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ঠিক রেখে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিকরাও দেশের কল্যাণে ও কৃষিকে এগিয়ে নিতে কাজ করতে পারে। সেক্ষেত্রে গেটওয়ে কনসাল্টিং বাংলাদেশ বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তিনি ৷ দিনব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠানে শিক, সরকারী-বেসরকারী কনসালটেন্ট, কৃষিবিশেষজ্ঞ ও আমন্ত্রিত অতিথিগণ অংশ নেন।