মুক্তাগাছায় ভাষাসৈনিক শহীদুল্লাহ’র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন :জানাযায় মানুষের ঢল

প্রকাশিত: ৭:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২১

ফেরদৌস আলম, মুক্তাগাছা প্রতিনিধি :
ভাষাসৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মুক্তাগাছা থেকে নির্বাচিত সাবেক গণ-পরিষদ সদস্য, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বৃহত্তর ময়মনসিংহের প্রাক্তণ সাংগঠনিক সম্পাদক, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর মুক্তির বাণী পত্রিকার সম্পাদক, খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লাহ’র জানাযায় শোকার্ত মানুষের ঢল নামে।

বুধবার বেলা ১১টায় মুক্তাগাছা রামকিশোর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে তার জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

জানাযায় বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কে.এম খালিদ, ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, নারী শিশু নির্যাতন স্পেশাল ট্রাইবুনাল পিপি এ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই আকন্দ, পৌর মেয়র আলহাজ্ব বিল্লাল হোসেন সরকার, সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান জাকারিয়া হারুন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরব আলী, মোঃ তারেক সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।

জানাযার পূর্বে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত খোন্দকার আব্দুল মালেক শহিদুল্লাহ কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মনসুর ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দুলাল উদ্দিন আকন্দের নেতৃত্বে গার্ড অব ওনার ও শেষে পৌর গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়।
খোন্দকার আব্দুল মালেক শহিদুল্লাহ ছাত্রাবস্থায় ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর আহবানে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও রফিক উদ্দিন ভূইয়ার কমিটিতে তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়ীত্ব পালন করেছিলেন।

১৯৭০’র নির্বাচনে মুক্তাগাছা আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপিএ নির্বাচিত হন। মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। যুদ্ধকালীন সময়ে তার সম্পাদনায় গোহাটি থেকে ‘মুক্তি’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশিত হত। ১৯৯৭ সালে তিনি মুক্তাগাছা পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

সম্প্রতি তিনি বার্ধক্য জনিত অসুস্থতার পাশাপাশি স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।