স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহে চোরাই অটো-রিক্সা ক্রয়-বিক্রয় চক্রের অন্যতমহোতা মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মঙ্গলবার রাতে নগরীর কেওয়াটখালী ওয়াপদা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া একটি মিশুক অটো-রিক্সা উদ্ধার করে পিবিআই টিম।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, দীর্ঘদিন যাবত একটি প্রতারক চক্র খাবারে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে আবার কখনো জোর পূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ময়মনসিংহ বিভাগীয় নগরী ও আশপাশ এলাকা থেকে অটো-রিক্সা ছিনতাই করে নির্দিষ্ট কিছু লোকের মাধ্যমে ক্রয় বিক্রয় করে আসেছে।
এমনই অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালী থানায় মামলা নং-৮৪(১০)২০২০ রুজু হয়। পিবিআই এ মামলাটি স্ব-উদ্যোগে অধিগ্রহণ করে তদন্তশুরু করে। এক পর্যায়ে গত ২৮ অক্টোবর, ২০২০ গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে ভালুকার জামিরদিয়া মাষ্টারবাড়ীর নারিশ ফিডমিল এলাকা হতে অটো-রিক্সা ছিনতাই চক্রের সদস্য আসামী ফাহিম উদ্দিন ওরফে রাকিবকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঐ দিনই বিভাগীয় নগরীর ওয়াপদার মোড়স্থ জনৈক আশাদুলের গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া একটি মিশুক অটো-রিক্সা উদ্ধার করে। চোরাই অটো-রিক্সা ক্রয়-বিক্রয় চক্রের মূল হোতাকে গ্রেফতারের ল্েয পিবিআই মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। একপর্যায়ে গত মঙ্গলবার চোরাই অটো-রিক্সা ক্রয়-বিক্রয়ের মূল হোতা মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। সে কেওয়াটখালী পাওয়ার হাউজ কলোনী এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে।
গ্রেফতারকৃত মোশারফ হোসেনের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার আরো জানান, উদ্ধারকৃত অটো-রিক্সাসহ আরো দু’টি চোরাই ছিনতাই হওয়া অটো-রিক্সা ক্রয় করে ওয়াপদার মোড়স্থ আসাদুলের গ্যারেজে রাখে এবং অটোর রং পরিবর্তন করে পরবর্তীতে সুযোগ সুবিধামত অটোগুলো বিভিন্ন অসাদু চক্রের কাছে বিক্রি করত। মোশারফ হোসেনকে বুধবার আদালতে পাঠানো হলে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবিন্দ প্রদান করে। তিনি আরো জানান, মোশারফ এ মামলা ছাড়াও কোতোয়ালী থানার মামলা নং-৮৫(০৩)২০০৫, ৬৬(০৬)২০০৯, ৭৯(১০)২০২০ মামলার এজাহারনামীয় ও চার্জশীটভূক্ত আসামী।