স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাকালীন এ সময়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন ঘটছে। পারিবারিক সহিংসতা, ধর্ষণ হত্যাসহ যৌতুক, জমি বিরোধের জেরে নারী ও শিশু নির্যাতিত হচ্ছে।
গৃহকর্মী সাবিনাকে নির্মভাবে হত্যা করে সুটকেসে ভরে ফেলে দিয়ে আসে, পুলিশ গৃহকর্ত্রী আর গৃহকর্তাকে গ্রেফতার করেছে সেই সাথে নান্দাইলের শিশু গৃহশ্রমিককে অত্যাচারের মাত্রা তীব্রতর অবস্থায় পৌঁছালে তাঁকেও গৃহকর্তা ও গৃহকর্ত্রী ফেলে পালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ তাদেরও গ্রেফতার করেছে।
কিন্তু আইনের ফাঁকফোকর অথবা প্রভাব খাটিয়ে আসামীরা যাতে পার পেয়ে না যায় সেই আসামীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দাবী জানিয়েছেন নারী সাংবাদিক সংঘ নাসাস এর ক্রেন্দ্রীয় কমিটি এবং জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি ময়মনসিংহ এর নেতৃবৃন্দ।
গৃহকর্মী সাবিনা এবং নান্দাইলের শিশু গৃহকর্মীসহ দেশব্যাপী নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে নারী সাংবাদিক সংঘ নাসাস এর আয়োজনে গতকাল এক মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির নেতৃবৃন্দ।
এসময় নারী সাংবাদিক সংঘ নাসাসের ক্রেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাংবাদিক বাবলী আকন্দ এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি এ্যাড নজরুল ইসলাম চুন্নু, নিরাপদ সড়ক চাই ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি আব্দুল কাদের চৌধুরী, কবি অহনা নাসরিন, নাসাসের ক্রেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক পুতুল রানী, শিক্ষক নেতা খন্দকার সুলতান আহমেদ, স্বাবলম্বীর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মনোয়ারুল ইসলাম সেলিম, নাসাসের সদস্য শিল্পী সরকার, সুরাইয়া ইয়াসমিন রিতু, জিনাত আরা নার্গিস প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন নাসাসের ক্রেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ আইইডি এবং স্বাবলম্বীর কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ সময় বক্তাগণ বিভিন্ন সমীক্ষা তুলে ধরে বলেন, শিশু গৃহশ্রমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী,শিশু থেকে বৃদ্ধা পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়। ঢাকা ক্রেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পিছনে কিশোরীকে ধর্ষণ করতে না পেরে হত্যা করা হয়েছে।
এমনই বিভিন্ন ঘটনাগুলো উদ্বেগের জন্ম দিচ্ছে। যেসব ঘটনায় মামলা হচ্ছে, পুলিশ আসামী ধরছে সেসব ঘটনাগুলোকেও ধামাচাপা দিতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রভাব না খাটিয়ে লেজুড়বৃত্তি না করে আইনের সঠিক বাস্তবায়নের পাশাপাশি সামাজিকভাবে একে প্রতিরোধ করার আহবান জানান।