স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ নগরীতে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পুলিশ কাজ করছে। করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে এবং মহামারির ভয়াবহতা থেকে নগরবাসিকে রা করতে জেলা পুলিশ গত কয়েকদিন ধরে লাগাতর অভিযান পরিচালনা করছে। শতভাগ মাস্ক ব্যবহার এবং ঘরের বাইরে মাস্ক না পড়লে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান।
করোনার ভয়াবহতা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা পুলিশ প্রথমদফা থেকেই দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করে। মানবিক পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের নির্দেশে ও নেতৃত্বে সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ জেলার সর্বত্র মাইকিং, প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ, সাবান, মাস্ক, সেনিটাইজার বিতরণ করা হয়েছে। করোনার ২য় ঢেউ ও চলতি লকডাউনে ময়মনসিংহে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশ কঠোর হয়ে মাঠে নামে। পুলিশের কঠোরতাকে নগরবাসি সবধূবাদ জানিয়েছেন।
শতভাগ মাস্ক ব্যবহারকারী নগরী হিসাবে ময়মনসিংহকে চিহিৃত করতে গত কয়েকদিন ধরে পুলিশ কাজ করছে। পুলিশ সুপারের নির্দেশে পুলিশের পৃথক টিম বুধবার থেকে নগরীতে মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতে অভিযানে নামেন। অভিযানে মাস্কহীন পথচারী, অটো, রিক্সা, ভ্যান, ইজিবাইকসহ অন্যান্য যানবাহনে চলাচলরত যাত্রীদের আটক করে দীর্ঘসময় পর মাস্ক পড়িয়ে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ৫ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্তে ময়মনসিংহ পুলিশ কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর গাঙ্গিনার পাড় ও কাচিঝুলি মোড়ে জেলা পুলিশ এই কর্মসূচী পালন করে।
গাঙ্গিনার পাড় মোড়ে দায়িত্বরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) শাহজাহান মিয়া বলেন, করোনার ভয়াবহতা ও সংক্রমণ প্রতিরোধে জেলা পুলিশ শুরু থেকেই দায়িত্ব পালন করে আসছে। মানবিক পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের নির্দেশে ও নেতৃত্বে সিটি কর্পোরেশন এলাকাসহ জেলার সর্বত্র মাইকিং, প্রচারণা, লিফলেট বিতরণ, সাবান, মাস্ক, সেনিটাইজার বিতরণ, পুলিশের নিজস্ব তহবিল থেকে অসহায় ও অস্বচ্ছল এবং নিম্ন আয়ের মানুষজনের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে সচেতনতা বাড়ানো, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত ও মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে পুলিশ কঠোর হচ্ছে। বাইরে চলাফেরার সময় সরকারী সিদ্ধান্ত অমান্য এবং মাস্ক ব্যবহার না করলে কঠোর ব্যবস্থা হবে। তিনি আরো বলেন, ময়মনসিংহে শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে বুধবার থেকে কঠোরভাবে কাজ করছে পুলিশ। মাস্কহীন পথচারী ও যাত্রীদের আটকের পর মাস্ক পড়িয়ে ছাড়া হচ্ছে। পরবর্তীতে মাস্কবিহিন কাউকে রাস্তায় পাওয়া গেলে জেল ও জরিমাণাসহ কঠোর আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়িতা শিল্পী, কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার, ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফারুক হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাগণ সাথে ছিলেন। নগরবাসি মনে করছেনম করোনা সংক্রমনের ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেও যুব সমাজের কতক অংশ ময়মনসিংহ নগরীতে মাস্ক বিহীন বেপরোয়া চলাচল করছিল।
শতভাগ মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত এবং শতভাগ মাস্ক ব্যবহারের নগরী নিশ্চিত করতে পুলিশের কঠোর মনোভাবে মাস্ক ব্যবহারীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলছে। তাদের মতে, বর্তমানে ৯০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পড়ছে। তাদের মতে, এই অভিযান চলমান থাকলে এবং পুলিশ আরো কঠোর হয়ে মাস্কহীনদেরকে ধরে জেল জরিমানা করা হলে দু, চার দিনের মধ্যে ময়মনসিংহ নগরী শতভাগ মাস্ক ব্যবহারকারী নগরী হিসাবে চিহিৃত হবে।