স্টাফ রিপোর্টার :
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের যেকোনো জায়গায় অজ্ঞাত, অসহায় মানুষদের নিয়েই কাজ “হেল্প প্লাস ময়মনসিংহের”। প্রতিবারই ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে এই সংগঠনটি। মাঠ পর্যায় থেকে শুরু করে অর্থাৎ পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষভাবে কাজ করে যাচ্ছেন সংগঠনের প্রতিটি সদস্য।
অতি দক্ষতার সাথে সকলকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন হেল্প প্লাস ময়মনসিংহের বর্তমান সভাপতি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজের ফাইনাল বর্ষের শিক্ষার্থী মারুফ হাসান আলভী। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ, সহ-সভাপতি অলক সরকার সহ প্রতিটি সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন মানুষদের জন্য।
গত ৭মে,২০২১ তারিখে “ঈদ উপহার” নামক শিরোনামে ফুলবাড়িয়ার রাধাইকানা ইউনিয়নে ৫৩ জন প্রতিবন্ধীদের নিয়ে হেল্প প্লাস ময়মনসিংহের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় কয়েকটি ধাপে তারা কাজ ভাগ করে নিয়েছেন। দ্বিতীয় ধাপ ময়মনসিংহ সদরের রেলি মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়।
১১মে, রোজ মঙ্গলবার বেলা ১২ ঘটিকায় জয়নুল আবেদীন পার্কের মুক্ত মঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ৫০জন অসহায় মানুষদের নিয়ে তৃতীয় ধাপের আয়োজন করা হয়। এদের মধ্যে ৩০ জন পথশিশু এবং ২০ জন খেটে খাওয়া অসহায় পরিবার ছিল। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে ছিলেন হেল্প প্লাস ময়মনসিংহের প্রধান উপদেষ্টা, ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন সুযোগ্য মেয়র জনাব মোঃ ইকরামুল হক টিটু মহোদয়।
উপদেষ্টাদের মধ্যে আরো ছিলেন আলী ইউসুফ, আলী আহসান ভূঁইয়া সুমন(ফেইম বিডি), এড. মতিউর রহমান ফয়সাল, ফখরুল হাসান সায়েম, তৌহিদুজ্জামান ছোটন, আসাদুজ্জামান রুমেল। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হেল্প প্লাস ময়মনসিংহের প্রতিষ্ঠাতা সাফরান আহমেদ, জেলা কমিটির সভাপতি মারুফ হাসান আলভী, সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ, সহ-সভাপতি অলক সরকার, কার্যনির্বাহী সদস্য তানিয়া ইয়াসমিন, তাসমিরি, তাহমিনা, সজীব, সায়েম সহ অন্যান্য সদস্য।
সংগঠনটির সভাপতি মারুফ হাসান আলভী বলেন, “হেল্প প্লাস ময়মনসিংহ সবসময় অসহায় মানুষদের জন্য। তাদের মুখের সামান্য হাসিই আমাদের সাফল্য, আমাদের চলার শক্তি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নতুন কিছু করার এসব মানুষদের নিয়ে। এর আগেও অনেকগুলো প্রোগ্রাম করেছি। ইনশাআল্লাহ সবগুলোই সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি।
এই ঈদ উপহার দেওয়ার আগে আমরা মাঠ পর্যায়ে খুঁজে ১৭ জন দরিদ্র মানুষকে ১৩ কেজি সমপরিমাণ পণ্যের ঈদ সামগ্রী প্যাকেজ প্রদান করি। প্যাকেজের ভিতর চাল, ডাল, তেল, আলু, সেমাই, চিনি, দুধ, নুডুলস, আটা সহ প্রয়োজনীয় জিনিস ছিলো। এখানে কেউ কেউ বিধবা, দিন মজুর, খেটে খাওয়া মানুষ, কারো সংসার চালাতে খুব কস্ট এমন।
এরপর কয়েকটি ধাপে প্রোগ্রাম করার সিদ্ধান্ত নেই সবার সাথে আলোচনা করে। আসলে আমরা চেস্টা করি প্রকৃত অসহায় মানুষের জন্য কিছু করার। সমাজে অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি রয়েছেন। তাদেরও এগিয়ে আসতে হবে। সবাইকে নিয়েই আমাদের সমাজ। আমি চিরকৃতজ্ঞ আমার সদস্যদের প্রতি। তারা দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তালিকা করা থেকে শুরু করে প্যাকেট করা, বিতরণ সহ সব। আমি সকল উপদেষ্টা মন্ডলীর প্রতি আন্তরিক ভাবে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি। আমাদের সকল কাজে তারা ছায়ার মতো পাশে থাকেন, উৎসাহিত দেন। পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে জানতে চাইলে সহ-সভাপতি অলক সরকার জানান, আমরা ৪টি ধাপে ২০০ জন পরিবারের আয়োজন করি। তৃতীয় ধাপটি আজ হলো।
এরপর আমরা রাতে কিছু কার্যক্রম করবো। অনেকে রাস্তার ধারে বা বস্তিতে ঘুমায় এছাড়া অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার রয়েছে যারা চাইতে ইতস্তত বোধ করে আমরা রাতে আমাদের টীম নিয়ে বের হবো এবং এই ঈদ উপহারগুলো তাদের নিকট পৌঁছে দিবো। সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা সভাপতির মাধ্যমে সবসময়ই মানুষের জন্য কিছু না কিছু করার চেস্টা করছি।
আমাদের এবারের টার্গেট ছিলো ২০০ জনের। এর আগে ১৭ জনকে দেওয়া হয়। আমরা আমাদের ধাপগুলোতে সকল খেটে খাওয়া,অসহায় শ্রেণীর মানুষকে রাখার চেস্টা করি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করি এদের নিয়ে। আমরা সকলের নিকট দোয়া চাই যেন সামনে আরো ভালো কিছু করতে পারি এসব মানুষদের নিয়ে। হেল্প প্লাস ময়মনসিংহের প্রতিষ্ঠাতা সাফরান আহমেদ জানান, আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি মানুষদের জন্য। এসব কাজ দেখে অনেকে উৎসাহিত হচ্ছে, এগিয়ে আসছে। কিন্তু অনেক সময় হিংসাজনিত কারণে অনেকে কটু কথা বলেন। এসব নিয়ে আমাদের চিন্তা করার সময় নেই। ভালো কাজে বাঁধা আসবেই। এসবের মধ্যেই এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। আমাদের আসল উদ্দেশ্যই হলো মানুষকে সাহায্য।
সভাপতির দক্ষতায় সকলের পরিশ্রমে এগিয়ে যাবে সংগঠনের কাজ। “অন্যকে সাহায্য করুন নিজের আত্মতুষ্টির জন্য” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মানবতার কাজে হেল্প প্লাস ময়মনসিংহ এগিয়ে যাবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।